সীতাকুন্ড (চট্টগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতা : সীতাকুন্ডে বাড়িতে ডাকাতিকালে ডাকাত ও পুলিশের মধ্যে বন্ধুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার মধ্যরাতে পৌরসভাধীন ফকিরহাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় দুই ডাকাত গুলিবিদ্ধ হওয়া ছাড়াও পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে এলজি, কাতুর্জসহ গুলিবিদ্ধ দুই ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার দিবাগত রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে সীতাকুন্ড পৌরসভাধীন ফকিরহাট ইকোপার্ক এলাকার জনৈক মো: সাফায়েত উল্লাহ বাড়িতে একদল ডাকাত হানা দিয়ে মূল্যবান সরঞ্জাম লুটে নিতে থাকে। এসময় দ্রুতগতিতে সেখানে পুলিশ উপস্থিত হলে ডাকাত ও পুলিশের মধ্যে বন্ধুকযুদ্ধ শুরু হয়। মধ্যরাতে দু’পক্ষের গোলাগুলিতে এলাকার মানুষ জেগে উঠলে ডাকাতরা পালাতে শুরু করে। তবে গুলিবিদ্ধ হওয়ায় দুই ডাকাত পালাতে পারেনি। পরে পুলিশ অস্ত্রসহ তাদেরকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। ডাকাতদের আক্রমণের স্বীকার গৃহকর্তা মো: সাফায়েত উল্লার পুত্র মো: আরিফ বলেন, রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে ১২-১৪ জনের একদল ডাকাত তাদের বাড়িতে হানা দিয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। তারা অস্ত্রের মুখে সবাইকে জিম্মি করে চার ভরি স্বর্ণালঙ্কার, চারটি মোবাইল ও নগদ পাঁচ হাজার টাকা লুট করে নেয়ার পর সেখানে পুলিশ উপস্থিত হলে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়। এসময় দুই ডাকাত গ্রেফতার হলেও অন্যরা পালিয়ে যায়। সীতাকুন্ড থানার ওসি (তদন্ত) মো: মোজাম্মেল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সোমবার রাতে একদল ডাকাত ফকিরহাটে সাফায়েত উল্লাহ নামক এক ব্যক্তির বাড়িতে ডাকাতি করছে বলে খবর পেয়ে এএসপি (চট্টগ্রাম উত্তর) মো: মছিউদ্দৌল্লার নেতৃত্বে সীতাকু- থানার অফিসার ইনচার্জ ইফতেখার হাসানসহ আমরা সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ডাকাতদের ঘিরে ফেলার চেষ্টা করি। অবস্থা বেগতিক দেখে ডাকাতরা এলোপাতাড়ি গুলি শুরু করলে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এতে কামাল শেখ (৫৫) ও মো: হোসেন (২৭) নামক দুই ডাকাত গুলিবিদ্ধ হয় এবং পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হন। ডাকাত কামাল শেখ খুলনার রুপসা থানার কাদের শেখের পুত্র এবং মো: হোসেন একই এলাকার মো: শাহাজানের পুত্র। আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন- সীতাকুন্ড থানার ওসি মো: ইফতেখার হাসান, ওসি (তদন্ত) মোজাম্মেল হক, এসআই সুজয় মজুমদার, এসআই মো: মাহফুজ, এসআই মো: জয়নাল আবেদীন। তাদের কাছ থেকে একটি দেশীয় এলজি, পাঁচ রাউন্ড কাতুর্জসহ ডাকাতির বিভিন্ন সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়। সীতাকু- থানার ইনচার্জ ইফতেখার হাসান বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে উপজেলায় বহিরাগত ডাকাতদের আনাগোনা বেড়ে যাওয়ার খবরে আমরা ডাকাতি মোকাবেলায় প্রস্তুত ছিলাম। সোমবার দুপুরে থানার সব অফিসারকে যে কোনো মূল্যে ডাকাতি মোকাবেলার নির্দেশ দেয়া হয়। এ কারণে রাতে সব অফিসারই প্রস্তুত ছিলেন। কিন্তু ডাকাতরা গুলি ছোড়ায় আমরাও পাল্টা গুলি চালাই।’ এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন