তীব্র বিতর্কের মধ্যেই ভারতের উত্তরপ্রদেশে পাশ হয়েছিল ধর্মান্তর বিরোধী আইন। সেই আইন অনুযায়ী প্রথমবার শাস্তি দেয়া হল এক মুসলিম যুবককে। জানা গিয়েছে, পেশায় কাঠমিস্ত্রি ওই যুবককে পাঁচ বছরের জন্য জেলের সাজা দেয়া হয়েছে। স্থানীয় এক হিন্দু নাবালিকাকে অপহরণ করে ধর্মান্তরিত করার অভিযোগ উঠেছিল ওই যুবকের বিরুদ্ধে।
২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে ধর্মান্তর বিরোধী আইন পাশ করা হয় উত্তরপ্রদেশে। মূলত লাভ জিহাদ রুখতেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছিল। আইন পাশের পরেই এই অপরাধকে জামিন অযোগ্য হিসাবে ধার্য করা হয়। হিন্দু মেয়েদের প্রভাবিত করে বিয়ের মাধ্যমে ধর্মান্তর করা হচ্ছে, এমন ঘটনা রুখতেই নতুন করে আইন পাশ করা হয়। চলতি বছরের এপ্রিল মাসেই প্রথমবার ধর্মান্তর আইনে মামলা দায়ের করে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।
জানা গিয়েছে, সাজাপ্রাপ্ত ওই যুবকের নাম আফজাল। কিন্তু মেয়েদের কাছে নিজেকে আরমান কোহলি নামে পরিচয় দিত সে। ১৬ বছর বয়সি এক নাবালিকাকে অপহরণ করার অভিযোগ ওঠে আফজালের বিরুদ্ধে। নাবালিকার বাবা জানিয়েছেন, তার নার্সারিতে গাছ কিনতে আসত আফজাল। সেখান থেকেই মেয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে আফজালের। শেষে একদিন কাজে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় ওই নাবালিকা।
পরে ওই নাবালিকাকে দিল্লি থেকে উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক ভাবে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করা হয় আফজালের বিরুদ্ধে। কিন্তু পরবর্তীকালে তার সঙ্গে যোগ হয় ধর্মান্তরের অভিযোগ। পুলিশি হেফাজতে রাখা হয় অভিযুক্ত আফজালকে। আদালতে জানা যায়, সাতজন সাক্ষীর বয়ানের ভিত্তিতে আফজালকে দোষী ঘোষণা করা হয়। আপাতত তাকে পাঁচ বছরের জেলের সাজা দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এই আইনে দোষীদের জন্য সর্বোচ্চ দশ বছরের কারাদণ্ড দেয়ার নির্দেশ রয়েছে আইনে। তবে যদি কেউ বিয়ে করে ধর্মান্তর করাতে চেষ্টা করে, শুধুমাত্র সেই ক্ষেত্রেই সর্বোচ্চ সাজা দেয়ার কথা বলা হয়েছে। সূত্র: টাইমস নাউ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন