মিথ্যা ও উস্কানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে মোহাম্মদপুর থানায় করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ট্রাইব্যুনালে দোষ স্বীকার করায় আলোচিত-সমালোচিত বক্তা মুফতি কাজী ইব্রাহিমের এক বছর তিন মাস সাজা দিয়েছেন আদালত।
অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন সোমবার (১৬ জানুয়ারি) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক একেএম জুলফিকার হায়াতের আদালতে দোষ স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করায় আদালত গ্রেফতারের পর থেকে এ পর্যন্ত কারাভোগকে সাজা হিসেবে প্রদান করেন। এক বছর তিন মাস কারাগারে থাকার সময়কাল সাজা হিসেবে দেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নজরুল ইসলাম শামীম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
২০২১ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর রাতে ইসলামিক বক্তা মুফতি কাজী ইব্রাহীমকে আটক করেছে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। সেদিন দিবাগত রাত ২টার পর ডিবির একটি বিশেষ দল তাকে মোহাম্মদপুরের নিজ বাসা থেকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মুফতি ইব্রাহীমকে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে রাখা হয়।
গ্রেফতারের দিন রাত ১টার পর মুফতি ইব্রাহীম তার ফেসবুক পেজ থেকে লাইভে আসেন। প্রায় ২০ মিনিটের লাইভে তিনি অভিযোগ করেন, মোহাম্মদপুর জাকির হোসেন রোডে তার বাসায় সন্ত্রাসীরা হামলা করেছে। তিনি আশপাশের সবাইকে সহযোগিতার জন্য এগিয়ে আসতে বলেন।
লাইভে ইব্রাহীম জানান, দেশের সরকার ও জনগণের কল্যাণে, দেশের স্বাধীনতার জন্য গত দুই জুমার নামাজে খুতবা দিয়েছিলেন তিনি। এরপর থেকে হিন্দুস্তানি রাজাকার ও তাদের এজেন্টরা তার পেছনে লেগেছে। মাঝরাতে বাসায় হামলা করেছে।
সেই লাইভে মুফতি ইব্রাহীম বঙ্গবন্ধুর মতো স্লোগান দিয়ে বলেন, ‘এবারের সংগ্রাম দেশকে স্বাধীন করার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম দেশকে হিন্দুস্তানি রাজাকার মুক্ত করার সংগ্রাম।’
‘দেশের পক্ষে কথা বললেই রাজাকাররা আমাদের ওপর হামলা করে, মামলা দিয়ে হয়রানি করে। দুই সপ্তাহ দেশের পক্ষে কথা বলেছি, আর সঙ্গে সঙ্গে ফোন করে তারা বলে হুজুর আপনার নামে মামলা আছে। এরা সকলেই হিন্দুস্তানি দালাল। তাদের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করতে হবে।’
মুফতি ইব্রাহীমের ফেসবুক লাইভ শেষে রাত ২টার কিছু পর থেকে তার মোবাইল নম্বরও বন্ধ হয়ে যায়। মঙ্গলবার সকালে তিনি ডিবির হেফাজতে আছেন বলে জানা যায়।
উস্কানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন