পাকিস্তানের জার্সিতে টি-টোয়েন্টি অভিষেকের অপেক্ষায় আছেন শান মাসুদ। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আসন্ন সিরিজে সেটার অবসান ঘটবে। দেশের প্রতিনিধিত্ব করা নিয়ে গর্ববোধ করলেও কোনো চাপ নিচ্ছেন না তিনি। এই বাঁহাতি ব্যাটারের মতে, ক্রিকেটের চেয়েও গুরুত্বপ‚র্ণ অনেক কিছু রয়েছে মানুষের জীবনে।
৩২ বছর বয়সী শান এর আগে টেস্ট ও ওয়ানডে খেলেছেন পাকিস্তানের হয়ে। ২০২১ সালের জানুয়ারির পর থেকে অবশ্য আন্তর্জাতিক মঞ্চে খেলতে দেখা যায়নি তাকে। এবার তিনি ফিরেছেন টি-টোয়েন্টি দলে প্রথমবারের মতো ডাক পাওয়ার মধ্য দিয়ে। আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ স্কোয়াডেও রাখা হয়েছে তাকে। পিএসএল, ভাইটালিটি বøাস্ট ও জাতীয় টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়নশিপে ব্যাট হাতে আলো ছড়ানোয়। করাচিতে গতপরশু এক সংবাদ সম্মেলনে শান জানান নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করার কথা, ‘আমি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অনেক কিছু শিখেছি এবং একজন ব্যক্তি ও খেলোয়াড় হিসেবে অভিজ্ঞ হয়ে উঠেছি। জীবনে ক্রিকেটের চেয়েও গুরুত্বপ‚র্ণ অনেক কিছু রয়েছে। তাই আমি যা যা করি, সেসব নিয়ে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করি।’
চলতি বছর শান হারিয়েছেন বোনকে, যিনি ছিলেন তার জন্য খুবই স্পেশাল। এই মৃত্যু পাল্টে দিয়েছে তার জীবনবোধ, ‘আমার বোনের মৃত্যু আমাকে জীবনকে অন্যভাবে দেখতে শিখিয়েছে। আমি এখন অনুভব করি যে আপনার দেশ বা আপনার প্রিয় ইভেন্টের হয়ে খেলার সুযোগ পাওয়া এবং তা থেকে উপার্জন করা খুব দারুণ ব্যাপার, কিন্তু ক্রিকেটে সাফল্য ও ব্যর্থতা ছাড়াও জীবনে আরও অনেক কিছু রয়েছে।’ জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তনে নিজেকে নিংড়ে দিতে চান তিনি, ‘আমি মনে করি, আপনি যখন সুযোগ পান, তখন আপনার সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করুন। আর আপনি যদি পারফর্ম করতে না পারেন, তবে শুধু আপনিই দায়ী। আর কেউই না। সফলভাবে প্রত্যাবর্তন করতে না পারলে কাউকে দোষ দেব না। আমি কেবল আমার সেরাটা দিতে পারি, কিন্তু ফল আমার হাতে নেই।’
আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে পাকিস্তান ও ইংল্যান্ডের সাত ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। প্রথম চারটির ভেন্যু করাচি, শেষ তিনটি লাহোরে। দুই পরাশক্তির লড়াই শেষ হবে আগামী ২ অক্টোবর।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন