ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বশত ঘরের দরজা ভেঙ্গে স্বামী-স্ত্রী দু'জনকে দা দিয়ে কুপিয়ে গুরুত্ব আহত করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। মঙ্গলবার দুপুরে ওই ঘটনাটি ঘটে।
জানা যায়, উপজেলার মাইজবাগ ইউনিয়নের কুমুরিয়ারচর গ্রামের ঝালমুড়ি বিক্রেতা আঃ হান্নান (৪০) এর ৮ বছর বয়সী ছেলে ইয়াছিনের সাথে প্রতিবেশী জাকির হোসেন এর ১৪ বছর বয়সী কিশোর পলাশের সাথে বাড়ির পাশের দোকানের সামনে পানি পান নিয়ে ঝগড়া হয়। পরে ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পলাশের মা রিনা বেগম তার অন্য ছেলে ইমন (২৪) এর কাছে তাকে মারধরের কথা বলে। মাকে মারার কথা শোনে ইমন ক্ষিপ্ত হয়ে তার বাবা জাকিরসহ অন্য ভাইদের নিয়ে দা ও লাঠিসোটা নিয়ে আঃ হান্নানের বাড়িতে হামলা করে। এ সময় ভয়ে আঃ হান্নানের স্ত্রী লিপি আক্তার ঘরের দরজা বন্ধ করে দিলে সেই দরজা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে স্বামী-স্ত্রী দু’জনকেই দা দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে। ওই সময় পরিবারের অন্য লোকজন তাদের উদ্ধার করতে গেলে তাদেরকেউ মারধর করা হয়। আহতারা হলেন মনোয়ারা বেগম (৬৫), রিপন মিয়া (২৮)। ওই অবস্থায় এলাকাবাসী আহতদের উদ্ধার করে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তাদের অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্যে ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
আহত আঃ হান্নানের মা মনোয়ারা বেগম বলেন, ছোট বাচ্চাদের ঝগড়াকে কেন্দ্র করে জাকির, জাকিরের স্ত্রী ও তাদের ছেলেরা আমার ছেলের ঘরে দা, রড ও লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করে ঘরের দরজা ভেঙ্গে প্রবেশ করে আমার ছেলে এবং ছেলে বউকে মারাত্মক আহত করে। এসময় আমি তাদের ফিরাতে গেলে আমাকেও তারা মারধর করে ।
প্রতিবেশী সরুজ মিয়া (৫৯) বলেন, আঃ হান্নানের চিৎকার শুনে গিয়ে দেখি হান্নান ও তার স্ত্রীকে দা ও ইট দিয়ে বেদড়ক মারধর করছে । ওই অবস্থায় আমি তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যাবস্থা করি।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ পীরজাদা শেখ মোহাম্মদ মোস্তাছিনুর রহমান বলেন, এধরনের ঘটনায় থানায় কোন অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন