বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

ডামুড্যায় নিখোঁজের পর ডোবা থেকে শিশুর লাশ উদ্ধার

শরীয়তপুর জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ৩:৩১ পিএম

শরীয়তপুরের ডামুড্যার দারুল আমান ইউনিয়নের উত্তর ডামুড্যা গ্রাম থেকে লামিয়া (৭) নামের এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে ওই শিশুর বাড়ির ৫০০ মিটার দুরের একটি ডোবা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই শিশু দুপুরের পর খেলতে যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয়। ওই শিশুকে হত্যা করে লাশ ডোবায় ফেলে দেয়া হয়েছিল বলে জানায় পুলিশ ও শিশুর পরিবার।

ডামুড্যা থানা সূত্র জানায়, ডামুড্যা উপজেলার দারুল আমান ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর ডামুড্যা গ্রামের হাবিব বেপারীর মেয়ে লামিয়া। মঙ্গলবার দুপুরের খাবার খাওয়ার পর ৩টার দিকে খেলাধুলা করতে বাড়ি থেকে বের হয়। পাশেই তার নানী বাড়ি, সেখানে যাওয়ার কথা ছিল। বাড়ির থেকে বের হলেই দুর্বৃত্তরা তাকে ধরে নিয়ে যায়। সন্ধ্যার আগে পরিবারের সদস্যরা জানতে পারেন লামিয়া তার নানী বাড়ি যায়নি। তখন পরিবারের লোকজন তাকে বিভিন্ন স্থানে সন্ধ্যান করতে থেকে। এলাকায় মাইকিংও করা হয়। রাত ৮টার দিকে লামিয়াদের বাড়ির কাছে একটি ডোবায় তাকে ভাসতে দেখে পুলিশকে জানায় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।

লামিয়া যে রাস্তা দিয়ে নানী বাড়ি যাতায়াত করে সেই রাস্তায় উজ্জল ফকির নামের এক ব্যক্তিকে ঘোরাঘুরি করতে দেখেছে স্থানীয়রা। সন্ধ্যার পর গ্রাম পুলিশ সদস্য নান্নু মিয়া ও প্রতিবেশি জামাল হোসেন উজ্জলকে জিজ্ঞাসা করেন লামিয়াকে দেখেছে কি না। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে যান উজ্জল। ধারালো দা দিয়ে নান্নু মিয়া ও জামাল হোসেনকে কুপিয়ে আহত করা হয়। তাদের অবস্থা সংকটাপন্ন হলে মঙ্গলবার রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়।

লামিয়ার হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ উজ্জল ফকির ও তাদের প্রতিবেশি সবুজ আতস্করকে আটক করেছে।
লামিয়ার মামা শাহীন সিকদার বলেন, লামিয়ার বাবা ডামুড্যা বাজারে চায়ের দোকান চালান। গরিব মানুষ, তেমন কারো সাথে শত্রæতা নেই। প্রতিবেশি একটি পক্ষর সাথে জমি-জমা নিয়ে ঝামেলা আছে। কারা কি জন্য এমন অবুঝ শিশু লামিয়াকে হত্যা করেছে বুঝতে পারছি না।
ডামুড্যা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরীফ আহমেদ বলেন, লামিয়াকে হত্যা করে লাশ ডোবায় ফেলেছে বলে আমাদের ধারণা। শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আমরা সন্দেহভাজন দুইজনকে আটক করেছি। ওই শিশুর পরিবার এ ঘটনায় মামলা করবে। আর ঘটনাটি গভীর ভাবে তদন্ত করছি। লামিয়াদের বাড়ি ও সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে সিসি ক্যামেরা আছে। ওই ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে দেখা হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন