শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আন্তর্জাতিক সংবাদ

নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন ইতিহাস গড়তে যাচ্ছে ইটালি

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১২:৪৪ পিএম

আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর ইটালিতে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এই প্রথম চরম-দক্ষিণপন্থী কোনো নেতা দেশটিতে ক্ষমতায় চলে আসতে পারেন। শুধু তাই নয়, এই প্রথম কোন নারী প্রধানমন্ত্রীও পেতে পারে ইউরোপের দেশটি।

সর্বশেষ জনমত জরিপে দেখা গেছে, জর্জা মেলোনির দল ব্রাদার্স অব ইটালি বেশ ভালোভাবেই এগিয়ে রয়েছে, এবং তিনি জয়ী হলে কয়েক দশক পর তার নেতৃত্বে দেশটিতে একটি দক্ষিণপন্থী জোট সরকার গঠিত হবে। এই মধ্য-ডানপন্থী জোটে রয়েছে তিনটি দল: জর্জা মেলোনির ব্রাদার্স অব ইটালি, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জাতীয়তাবাদী রাজনীতিক মাত্তেও সালভিনির নর্দার্ন লিগ এবং আরেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী দক্ষিণপন্থী নেতা সিলভিও বারলুসকোনির ফরজা ইটালি।

শেষ পর্যন্ত যদি এই জোট জয়ী হয় তাহলে ইটালিতে তিনি যে শুধু প্রথম কোনো মহিলা প্রধানমন্ত্রী হবেন না তা নয়, একনায়ক বেনিতো মুসোলিনির পর তিনি হবেন প্রথম কোনো অতি-দক্ষিণপন্থী নেতাও। সম্প্রতি ইউরোপের আরো একটি দেশ সুইডেনের নির্বাচনেও এই প্রথমবারের মতো একটি উগ্র ডানপন্থী ও নব্যনাৎসী দল ক্ষমতার খুব কাছাকাছি চলে এসেছে।

ইটালিতে দু'মাস আগে গত জুলাই মাসে প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘির পদত্যাগের পর তার নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের পতন ঘটে। এই পটভূমিতেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবারের নির্বাচন যাকে ইউরোপের জন্যেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচনা করা হচ্ছে। ইটালির রাজনৈতিক নেতাদের দুর্নীতি ও কেলেঙ্কারির কথা প্রায়শই শোনা যায়। দেশটিতে যেমন খুব দ্রুত কোনো একটি রাজনৈতিক দলের উত্থান ঘটে, তেমনি খুব অল্প সময়ের মধ্যে তার জনপ্রিয়তা হারিয়েও যায়।

ফলে ইউরোপের চতুর্থ বৃহৎ অর্থনীতির এই দেশটিতে খুব ঘন ঘন সরকারের পতন ঘটে এবং একারণে প্রায়শই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। গত ৩০ বছরের ইতিহাসে ইটালিতে ১৯টি সরকারের ১৪ জন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। গড় হিসেবে দেখা যায়, প্রত্যেক দু'বছরে একজন প্রধানমন্ত্রী এবং প্রত্যেক দেড় বছরে দেশটিতে নতুন সরকার গঠিত হয়েছে। এই ধারাবাহিকতায় রবিবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে আরো একটি সাধারণ নির্বাচন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, গত কয়েক দশক ধরে মধ্য-বামপন্থী জোট সরকারগুলোর ব্যর্থতার কারণে ভোটাররা এখন সরকার পরিচালনায় বড় ধরনের গুণগত পরিবর্তন চাইছেন। বিশেষ করে বিশ্বের বর্তমান অর্থনৈতিক সঙ্কট, জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি, কোভিড মহামারি-পরবর্তী পরিস্থিতি এবং ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ভোটাররা এই নির্বাচনকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচনা করছেন। সূত্র: বিবিসি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন