ইতালিতে রোববারের ভোটের পরে প্রকাশিত প্রথম এক্সিট পোল অনুসারে, নব্য ফ্যাসিবাদী মতবাদের একটি দলের নেতৃত্বে ডানপন্থী জোট ইতালির সংসদে স্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। চ‚ড়ান্ত ফলাফল যদি এক্সিট পোলকে প্রতিফলিত করে, তবে এটি যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের জন্য একটি বড় ধাক্কা হতে পারে।
রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারকারী আরএআই জানিয়েছে যে, ব্রাদার্স অফ ইতালি পার্টির নেতৃত্বে রক্ষণশীল দলগুলির বøক, যার মধ্যে মাত্তেও সালভিনির লীগ এবং সিলভিও বারলুসকোনির ফোরজা ইতালিয়া দলগুলি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, ৪১ থেকে ৪৫ শতাংশের মধ্যে জিতেছে - যা ইতালির সংসদের উভয় কক্ষের নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করার জন্য যথেষ্ট।
ফলস্বরূপ, জর্জিয়া মেলোনি প্রায় নিশ্চিতভাবেই ইতালির ইতিহাসে প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হয়ে উঠবেন। তিনি হচ্ছেন ইউরোপ মহাদেশ জুড়ে সর্বশেষ হাই-প্রোফাইল মহিলা রাজনীতিবিদ, যিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে ইতালীয়দের দ্বারা নির্বাচিত সবচেয়ে ডানপন্থী সরকারের নেতৃত্ব দেবেন। ইতালি হল ইউরোপীয় ইউনিয়নের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি এবং মেলোনির বিজয় এমন একটি সঙ্কটময় সময়ে আসতে যাচ্ছে, যখন মহাদেশের বেশিরভাগ অংশ ক্রমবর্ধমান জ্বালানি বিল, ইউক্রেনের যুদ্ধের প্রতিক্রিয়া এবং রুশ অভিযানের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য পশ্চিমাদের ভঙ্গুর সংকল্পের মধ্যে আছে। এর মাধ্যমে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র ৮৬ বছর বয়সী বারলুসকোনি রাজনৈতিক শীর্ষ টেবিলে ফিরে আসতে যাচ্ছেন। পুতিনের আরেক মিত্র অভিবাসন বিরোধী সালভিনিও একটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারী পদ পেতে যাচ্ছেন।
মেলোনি যদিও কিয়েভের প্রতি রোমের সমর্থন অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রæতি দিয়েছেন, তবে সন্দেহ রয়েছে যে, সালভিনি এবং বারলুসকোনির চাপে, যারা সাম্প্রতিক অতীতে পুতিনের পক্ষে সমর্থন দিয়েছেন, ইউক্রেনের প্রতি ইতালির সমর্থন দুর্বল হতে পারে। গত সপ্তাহে বারলুসকোনি দাবি করেছিলেন যে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্টকে যুদ্ধে ‘ঠেলে’ দেয়া হয়েছিল। মেলোনিকে অভিনন্দন জানানো প্রথম নেতাদের মধ্যে একজন ছিলেন পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র ও হাঙ্গেরির নেতা ভিক্টর অরবান, যিনি টুইটারে লিখেছেন, ‘এই কঠিন সময়ে, আমাদের এমন বন্ধুদের আরও বেশি প্রয়োজন যারা ইউরোপের চ্যালেঞ্জগুলির জন্য একটি সাধারণ দৃষ্টিভঙ্গি এবং মতবাদ ধারণ করে।’ সূত্র : দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন