রাজধানী ঢাকা দিন দিন পরিণত হচ্ছে ময়লার ভাগাড়ে। সিটি করপোরেশনের গৃহস্থালিসহ সব ধরনের ময়লা আবর্জনা পরিস্কারের নানা উদ্যোগের মাঝেও সেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনার স্ত‚প জমে থাকে। রাস্তার পাশে, খালের পাশে, ফ্লাইওভারের নিচে, ময়লার ডাম্পিং স্টেশনের সামনে আবর্জনা জমে প্রতিদিনই। কোনো কোনো স্থান থেকে ময়লা পরিষ্কার করা হলেও অবশিষ্ট পড়ে থাকে আরও অনেক আবর্জনা। সেসব ময়লা-আবর্জনার দূর্গন্ধের কারণে স্থানীয়দের মুখে রুমাল চেপে চলতে হয়।
রাজধানীর পুরান ঢাকার বুড়িগঙ্গা আদি চ্যানেলের ময়লা নিয়ে বিপাকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। আদি চ্যানেল থেকে অপসারণ করা ময়লা-আবর্জনা নির্দিষ্ট স্থানে স্থানান্তর না করতে পারায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। বেড়িবাঁধ এলাকা থেকে বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেলের ময়লা ভেহেকোর সাহায্যে উঠানো হচ্ছে। আদি চ্যানেলের ময়লা-আবর্জনা নিয়ে বিপাকে পড়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। তবে বুড়িগঙ্গা আদি চ্যানেলের ময়লা-আবর্জনা উঠিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ডেমরার মাতুয়াইল ল্যান্ডফিল্ডে নিতে না পারার কারণে এই আবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে ডিএসসিসি সূত্রে জানা যায়।
সরেজমিন দেখা গেছে, দৈনিক যে পরিমাণ ময়লা-আবর্জনা একাধিক ভেহেকো দিয়ে ওঠানোর কথা সে পরিমাণ ময়লা সরানো যাচ্ছে না। বুড়িগঙ্গা আদি চ্যানেলের ময়লা-আবর্জনা সরাতে না পারার কারণে রাস্তার পাশে স্ত‚প করে রাখতে হচ্ছে। এতে করে ময়লার স্ত‚পের কারণে এই এলাকার মানুষের চলাচলের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ময়লার স্ত‚পের পাশ দিয়ে যেতে হচ্ছে কষ্ট করে। বিশাল আকারের একাধিক ময়লার স্ত‚প থাকার কারণে ময়লা-আবর্জনার তরল পানি এসে পড়ছে বেড়িবাঁধের রাস্তার উপর।
রাস্তার উপর পড়ার কারণে নষ্ট হচ্ছে পাকা সড়ক। সেখানে এসে যানবাহনগুলোকে আস্তে আস্তে চলতে থাকার কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়। এই সড়কে যানজট লেগে থাকার কারণে দীর্ঘ সময় যানবাহনগুলোকে বসে থাকতে হচ্ছে। মাতুয়াইলে ময়লা-আবর্জনা না সরানোর কারণে বুড়িগঙ্গা আদি চ্যানেল এলাকায় ময়লার স্ত‚প জমে যাচ্ছে। ময়লা সরানোর কাজ না থাকায় আবর্জনা স্থানান্তরের ট্রাকগুলো আলস বসে রয়েছে। বুড়িগঙ্গা আদি চ্যানেল এলাকার বেড়িবাঁধের পাশে সারি করে রাখা হয়েছে ট্রাকগুলো।
জানা যায়, বুড়িগঙ্গা প্রাণ ফেরাতে আদি চ্যানেলের ময়লা সরানোর উদ্যোগ নেয় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। পুরান ঢাকার আদি চ্যানেলটি আবর্জনায় ভরাট হয়ে মরতে বসেছিল। বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেলে ময়লা-আবর্জনার পাহাড়। দখলদারিত্বের কারণেও কমেছে প্রশস্ততা। পাশের আদি চ্যনেলের জায়গায় গড়ে উঠেছে বাড়ি-ঘর, ভবন। কোথাও ১০তলা ভবনও গড়ে তোলা হয়েছে। এই বুড়িগগঙ্গা আদি চ্যানেল ঘিরে রয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নানা উদ্যোগ।
বুড়িগঙ্গা আদি চ্যানেলের ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার ও খনন করে ঢাকার দক্ষিণ অংশে সুন্দর, দৃষ্টিনন্দন ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি করা হবে। এতে লালবাগ, হাজারীবাগ, ধানমন্ডি ও কামরাঙ্গীরচরের পানিবদ্ধতা দূর হবে। ওইসব এলাকা থেকে নির্গত পানি ইটিপি ও সিইটিপি দ্বারা পরিশোধিত আকারে নদীতে নিষ্কাশিত করার ব্যবস্থা থাকবে। চ্যানেলের দুই প্রান্তে নতুন রাস্তা, সাইকেল লেন, বৃক্ষরোপণ, দৃষ্টিনন্দন সেতু নির্মাণ করা হবে। ঢাকাবাসীর জন্য একটি নতুন বিনোদন ও পর্যটন কেন্দ্র হবে এটি।
স্থানীয় বাসিন্দা আবু সাইদ জানান, উদ্বোধনের পর থেকে ময়লা-আবর্জনা সরানো হলেও এখন কয়েকদিন যাবৎ বন্ধ রয়েছে। ময়লা-আবর্জনা না নেয়ার কারণে রাস্তার পাশে স্ত‚প করে রাখা হয়েছে। এতে আমাদের এলাকার মানুষের চলাচল করতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের উচিত খুব দ্রæত এই সমস্যার সমাধান করার।
ঢাকা দক্ষিণ সিটির ২৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোকাদ্দেস হোসেন জাহিদ ইনকিলাবকে বলেন, বুড়িগঙ্গা আদি চ্যানেল থেকে ময়লা প্রথমে উঠিয়ে বেড়িবাঁধের পাশে রাখতে হয়। তারপর সেখান থেকে ট্রকে করে মাতুয়াইল ডাম্পিং স্টেশনে নিয়ে যেতে হয়। এজন্য আদি চ্যানেলের ময়লা-আবর্জনা রাখার জন্য মাতুয়াইলে আরেকটি ডাম্পিং স্টেশন করা হয়েছে। কিন্তু ৪০ টনের ট্রাক দিয়ে সেখানে নিতে গেলে রাস্তা দেবে যায় তাই ২০ টন করে নিতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী মো. খায়রুল বাকের ইনকিলাবকে বলেন, মাতুয়াইল ল্যান্ডফিল্ডে ময়লা-আবর্জনা নেয়ার পথ বৃষ্টির কারণে একটু সমস্যা দেখা দিয়েছে। এ কারণে সেখানে ময়লা-আবর্জনা নেয়া যাচ্ছে না। আশা করছি খুব তাড়াতাড়িই এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
শ্রীলঙ্কার ঘটনাটি প্রকাশিত হয়েছে ‘ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব সার্জারি কেস রিপোর্টস’-এ।
শ্রীলঙ্কায় বসবাসকারী ওই রোগীর বয়স ছিল ৬০ বছর। ব্যথা, বমি, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং পেটের সমস্যা নিয়ে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। পরিস্থিতি খারাপ হতে দেখে তাঁকে ‘ইনটেনসিভ কেয়ার’-এ ভর্তি করা হয়। রিপোর্টে জানা যায়, তার পেটে তরল পদার্থে ভরে রয়েছে। কিডনি কাজ করা বন্ধ করে দিলে এ ধরনের উপসর্গ দেখা দেয়। এটি মূলত ‘সেপসিস’-এর লক্ষণ। এরপর দুই ঘণ্টা ধরে রোগীর অপারেশন চলে। জানা যায়, অন্ত্রে একটি ছোট ছিদ্র রয়েছে। তদন্তে দেখা গেছে, ১ ইঞ্চি মাছের কাঁটা গিলে ফেলার কারণে এমনটি হয়েছে। রোগীকে বাঁচাতে ডাক্তাররা অন্ত্রের সংক্রমিত অংশটি সরিয়ে ফেলেন। কিন্তু হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে রোগীর মৃত্যু হয়।
গবেষণায় বলা হয়েছে, মাছের হাড় গিলে খেলে পেটে এমন সমস্যা হয়। এ সমীক্ষা নিয়ে একজন ডাক্তার বলেন, এ ধরনের ঘটনা খুবই সাধারণ। বিশেষ করে উপক‚লীয় অঞ্চলে, যেখানে মানুষ প্রতিদিন মাছ খায়। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এ ধরনের ঘটনা দ্রæত শনাক্ত করা গেলে চিকিৎসা সম্ভব। তবে চিকিৎসায় দেরি হলে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। ফলে মাছ খাওয়ার সতর্ক থাকা প্রয়োজন। সূত্র : আজতক।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন