ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, ঢাকা শহরে সেবাপ্রদানকারী সংস্থাগুলোকে প্রকল্প প্রণয়নের সময় হতেই করপোরেশনের সাথে সমন্বয় করতে হবে। বিভিন্ন সেবা সংস্থার সমন্বয়হীন কার্যক্রম আমাদের জন্য একেকটা বিষফোঁড়া। আশা করব, এ বিষয়গুলো যথাযথ কর্তৃপক্ষ আরও সদয় বিবেচনা করবে। প্রকল্প প্রণয়নের সময় আমাদের সাথে মতবিনিময় করবেন। আমাদের পরিকল্পনার সাথে মেলাবেন। গতকাল বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরাম আয়োজিত রাজধানীর উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়নে চ্যালেঞ্জ ও বাস্তবায়নে করণীয় শীর্ষক নগর সংলাপে অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাকাবাসীর কল্যাণে প্রকল্প প্রণীত হলে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে উল্লেখ করে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, যেটা ঢাকাবাসীর জন্য ভালো হবে, যেটা ঢাকাবাসীর উন্নয়নের জন্য হবে, যেটা রাজধানীর উন্নয়ন ও নগরবাসীর পরিষেবা নিশ্চিত হবে সেজন্য প্রকল্প হলে অবশ্যই সেটা বাস্তবায়নের শুধু সহায়তায় নয় বরং সর্বাগ্রে আমরা সহযোগিতা করব।
তিনি বলেন, ঢাকা জনগোষ্ঠিীর ভারে নুয়ে পড়েছে। রাজধানীর বিশাল জনগোষ্ঠীর কারণে ঢাকার আসল সৌন্দর্য আমরা উপভোগ করতে পারি না। পরিবহন ক্ষেত্রে কিছু পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু অভিবাসন, আগ্রাসন, জনগোষ্ঠী একটি শহরের সকল কিছুকে বিবেচনা করে সামগ্রিকভাবে কোনও পরিকল্পনা আমরা দেখিনি। তাই, আমি দায়িত্বভার গ্রহণের পর প্রথমেই যে কাজটি শুরু করার চেষ্টা করেছি সেটি হলো করপোরেশনের জন্য একটি মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করা।
সংলাপে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয় নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের প্রফেসর ড. আকতার মাহমুদ। রাজউকের চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান মিয়া ও চাইনিজ এন্টারপ্রাইজ এসোসিয়েশন ইন বাংলাদেশ এর সভাপতি মি. কে চ্যাংলিয়াং বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
নগর উন্নয়ন সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সোহেল মামুনের সঞ্চালনায় ও সংগঠনের সভাপতি অমিতোষ পালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক নীলিমা আখতার, ইন্সটিটিউট অব আর্কিটেক্ট বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক স্থপতি ফারহানা শারমিন, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ার্সের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শিপলু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এর আগে নিউমার্কেট-গাউছিয়া ফুটওভারব্রিজ সংলগ্ন এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের মেয়র তাপস বলেন, গতবারের তুলনায় এ বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা অর্ধেকের চাইতে কম। গত বছরের এই সময় যে সংখ্যক ডেঙ্গু রোগী পাওয়া গিয়েছিল, এবার তার অর্ধেকেরও নিচে। সুতরাং এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে যে কার্যক্রম নিয়েছি, এর সুফল পাওয়া শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত এডিস মশার বিস্তার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছি। আমরা নিয়ন্ত্রণকক্ষ খুলেছি এবং নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে আমরা সরাসরি এটাকে তদারকি করছি। যে জায়গায় আমরা এডিস মশার প্রজননস্থল সম্পর্কে তথ্য পাচ্ছি, ডেঙ্গু রোগীর ঠিকানা পাচ্ছি, সেসব জায়গায় গিয়ে প্রথমে উৎসস্থলগুলো ধ্বংস করছি। এরপর শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিট সংলগ্ন রাস্তা পরিদর্শন ছাড়াও বকশীবাজার জামে মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ও যাত্রাবাড়ী কাঁচাবাজার-আড়ৎ পরিদর্শন করেন মেয়র।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন