শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

ডিএসসিসি অসংক্রামক ব্যাধিজনিত মৃত্যু হ্রাস করে এসডিজি অর্জনে কাজ করছে : ডিএসসিসি মেয়র

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৮ জানুয়ারি, ২০২২, ১২:০২ এএম

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, অসংক্রামক ব্যাধিজনিত অপরিপক্ক মৃত্যু হ্রাস করার মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কাজ করছে ডিএসসিসি। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে প্রথম জাতীয় অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের প্রথম পর্বে যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এ কথা বলেন।

মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, আমাদের পর্যাপ্ত হাঁটার জায়গা নেই, পর্যাপ্ত পার্ক নেই, উদ্যান নেই, খেলার জায়গা নেই। এগুলো আমাদেরকে এখন করতে হবে। সেজন্য ৩০ বছর মেয়াদি মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করছি। যাতে ২০৫০ সাল নাগাদ এই অবকাঠামোগুলো বৃদ্ধি করতে পারি। এ সকল অসংক্রামক ব্যাধি প্রতিরোধ করতে হলে আমাদেরকে এই সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করতে হবে। এজন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে। যাতে ক্যন্সার, ডায়াবেটিস এবং উচ্চরক্তচাপজনিত ব্রেইন স্ট্রোক ইত্যাদি অসংক্রামক ব্যাধি নির্মূল করা যায়, কমিয়ে আনা যায়। এর ফলে, অপরিপক্ক যে মৃত্যু হচ্ছে তা কমিয়ে আনতে পারব এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারব।
ডিএসসিসি মেয়র বলেন, বায়ু দূষণ শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত স্বাস্থ্য জটিলতার অন্যতম কারণ। এ বিষয়ে আমরা সজাগ আছি। কিন্তু দুভার্গ্যবশত ঢাকা বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহর। এই সমস্যা হতে উত্তরণে কাজ করছি। নগরবাসীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় আরও পার্ক প্রতিষ্ঠা, প্রশস্ত ফুটপাথ তৈরি, হাঁটার জায়গা সৃষ্টি করতে ইতোমধ্যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। নগরবাসীর জীবনমান উন্নয়নে আমরা সমন্বিত মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করছি।
সংক্রামক ব্যাধির চাইতে অসংক্রামক ব্যাধিতে মানুষের মৃত্যুর সংখ্যা অনেক বেশি উল্লেখ করেন মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, দেশে দুই-তৃতীয়াংশ জনগোষ্ঠী অসংক্রামক ব্যাধির কারণে মারা যাচ্ছে। যেটাকে জীবনের যে সীমা ৭২ বছর, ৭০ বছরের আগেই এ সকল অসংক্রামক ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে অপরিপক্ক অবস্থায় মারা যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যদিও সরকার ব্যাপক কার্যক্রম নিয়েছে, ব্যাপক বিনিয়োগ করা হচ্ছে, তারপরও সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। সেখানে সিটি করপোরেশনসহ স্থানীয় সরকারের একটি বড় ভ‚মিকা রয়েছে। আমাদের দুইটি হাসপাতাল আছে মহানগর জেনারেল হাসপাতাল ও মহানগর শিশু হাসপাতাল। সেখানকার অবকাঠামোগত বিষয়াবলী আমাদের এবং সেগুলোর উন্নয়নে আমরা কাজ করছি। সেখানে সরকার হতেই প্রয়োজনীয় জনবল, ডাক্তারের (মেডিকেল কনসালটেন্ট) নিয়োগ ও পদায়ন করা হয়ে থাকে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে হাসপাতালগুলোর জন্য পর্যাপ্ত জনবল ও ডাক্তার পদায়ন করা হয় না। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক যে, পর্যাপ্ত লোকবল ও ডাক্তারের অভাবে আমাদের মহানগর জেনারেল হাসপাতালের সার্জারি শাখাকে এখনো কার্যক্ষম করতে পারিনি।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ শাহাদাত হোসাইন মাহমুদ, সাবেক মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ, ইন্টান্যাশনাল সোসাইটি ফর আরবান হেলথ (আইএসইউএইচ) এর প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক জো আইভি বাফর্ড, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এনসিডি টিম লিডার (ব্যাংলাদেশ) সাধনা ভাগওয়াত, ওয়ার্ড ওরবেস্টি ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক জন উইলডিং, অরবিস ইন্টারন্যাশনালের কান্ট্রি ডিরেক্টর ডা. মুনির আহমেদ, ইউনিভার্সেল মেডিকেল রিসার্স সেন্টারের রিসার্স প্রধান অধ্যাপক ডা. রেদওনুর রহমান, বিএসএমএমইউর পাবলিক হেলথ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. ফারিহা হোসেন বক্তব্য রাখেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন