বৃহস্পতিবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

ফেব্রুয়ারি থেকে বুড়িগঙ্গা আদি চ্যানেলের পুনঃখনন শুরু হবে

পরিদর্শনকালে ডিএসসিসি মেয়র

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৯ ডিসেম্বর, ২০২১, ১২:০০ এএম

আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে বুড়িগঙ্গা আদি চ্যানেলের পুনঃখনন কাজ শুরু করার ব্যাপারে আশাবাদ জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। নিয়মিত পরিদর্শন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গতকাল বুধবার দুপুরে নগরীর কামরাঙ্গীরচর বেড়িবাঁধ সংলগ্ন লোহারপুল এলাকায় আদি বুড়িগঙ্গা নদীপথের উপর সেতু নির্মাণের সম্ভাব্য স্থান পরিদর্শন শেষে তিনি একথা বলেন।
মেয়র ব্যারিস্টার তাপস বলেন, কামরাঙ্গীরচরে একটি কেন্দ্রীয় বাণিজ্যিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করবো। আর কামরাঙ্গীররচরে কেন্দ্রীয় বাণিজ্যিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করলে যাতায়ত সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য ভবিষ্যত কার্যক্রম মাথায় নিয়ে দুটো সেতু করতে হবে। যাতে করে মূল ঢাকার সাথে সেটার সংযোগ নিশ্চিত হয়। সেই লক্ষ্যে কোথায় কোথায় সেতু করবো, সেই বিষয়গুলো সরেজমিনে দেখার জন্য বিশেষজ্ঞ, পরিকল্পনাবিদ ও আমাদের প্রধান প্রকৌশলীসহ পরিদর্শনে এসেছি। তার সাথে আনুষঙ্গিক সড়ক ব্যবস্থা কি করতে হবে, সে বিষয়গুলোও সরেজমিন পরিদর্শন করলাম।
আশা করছি, আগামী ফেব্রুয়ারি থেকেই আদি বুড়িগঙ্গা পুনঃখনন কাজ শুরু করতে পারবো। সেই লক্ষ্যে এরই মাঝে কার্যক্রম হতে নিয়েছি।
ডিএসসিসি মেয়র আরও বলেন, আদি বুড়িগঙ্গা নদীর অংশবিশেষ দখলমুক্ত করা হয়েছে। আশা করছি আগামী সপ্তাহ থেকেই ঢাকা জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন যৌথভাবে অভিযান পরিচলনা করবে এবং আদি বুড়িগঙ্গার যে অংশ এখনও দখল অবস্থায় আছে সেগুলো দখলমুক্ত কার্যক্রম হাতে নেবো। প্রত্যেকটা বিষয়ে নজর দিচ্ছি। কামরাঙ্গীরচরে এই যে নদী খনন, সেতু নির্মাণ সাথে সাথে বেড়িবাধেঁর সড়কটাকেও ছয় সারিতে রুপান্তরিত করবো। চার সারি থাকবে এক্সপ্রেসওয়ে। আর মূল সড়কের সাথে সংযোগ সৃষ্টির জন্য এক সারি এক সারি থাকবে সার্ভিস রোড। আমরা শুধু পরিকল্পনা করছি না, সাথে সাথে একশন প্ল্যান নিচ্ছি এবং কাজেও হাত দিচ্ছি। এক দিকে পরিকল্পনা শেষ হবে, আরেক দিকে কাজগুলো চলবে। পর্যায়ক্রমে কাজগুলো দৃশ্যমান হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, দীর্ঘদিনের পুঞ্জিভূত সমস্যায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পরিবহন বিভাগ একদম নুয়ে পড়েছিল। তদন্ত প্রতিবেদন পেয়েছি এবং তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী এরই মাঝে কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। পর্যালোচনা করেছি এবং যারা যারা দোষী, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছি। নিয়মিত গাড়ি চালক ছাড়া অন্য কাউকে দিয়ে গাড়ি পরিচালনা করবো না। এ ব্যপারে আমরা কঠোর।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর সিতওয়াত নাঈম, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহমদ, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির, সংশ্লিষ্ট অঞ্চলসমূহের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাগণ, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডসমূহের কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের মহিলা কাউন্সিলরবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন