বৃহস্পতিবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

প্রকল্পনির্ভর কার্যক্রম পরিকল্পিত নগরী গড়তে বাধা

ডিএসসিসি মেয়র

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৩ জানুয়ারি, ২০২২, ১২:০০ এএম

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, পিপিপি প্রকল্পসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রকল্পনির্ভর কার্যক্রম পরিকল্পিত নগরী গড়ে তোলায় বাধা সৃষ্টি করছে। অপরিকল্পিত এই শহরকে পরিকল্পিতভাবে গড়ে তোলার চেষ্টা করছি। কিন্তু অযাচিত, অনাকাঙ্খিতভাবে বিভিন্ন সংস্থা এখনো আগ্রাসন করে যাচ্ছে। নিয়মিত পরিদর্শনের অংশ হিসেবে গতকাল বুধবার দুপুরে নগরীর গুদারাঘাটস্থ ত্রিমোহনী ব্রিজ সংলগ্ন জিরানী খালের বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন।
ডিএসসিসি মেয়র বলেন, পানিবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে গত বছর থেকে খালগুলো হতে বর্জ্য ও পলি অপসারণ কার্যক্রম আরম্ভ করেছি। এ বছরও যথারীতি সময়মত শুরু করেছি। ইতোমধ্যে এ বছরও জিরানী খালের বর্জ্য ও পলি অপসারণ কার্যক্রম শুরু করেছি। গত বছর এই কার্যক্রমের সুফল ঢাকাবাসী পেয়েছে। খাল নিয়ে আমরা যে প্রকল্পটা নিয়েছিলাম, সেটা এখনও আলোর মুখ দেখেনি। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। এটা আবারও মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর জন্য আমরা কাজ করছি। দখলমুক্ত করা খাল আবারও দখল হচ্ছে। এই দখল, আগ্রাসন থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।
মেয়র আরও বলেন, দায়িত্ব পাওয়ার প্রথম দিন থেকেই যেমনি খালগুলো দখলমুক্ত এবং সেগুলো হতে বর্জ্য অপসারণ করেছি তেমনি স্থায়ী সমাধানের জন্য একটি প্রকল্পও হাতে নিয়েছি। কিন্তু সেই প্রকল্প পাস না হওয়া পর্যন্ত, প্রকল্পের কাজ আরম্ভ না করা পর্যন্ত কিন্তু স্থায়ী সমাধানে যেতে পারছি না। আমাদের কিন্তু প্রচুর ব্যয় হচ্ছে। এ বছর আমরা যে আবারও পরিষ্কার করবো, এটা কিন্তু আমাদের জন্য বাড়তি ব্যয়। এজন্যই এই প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা স্থায়ী ব্যবস্থা করতে চাই । আমরা আশাবাদী, সরকার এ প্রকল্পটি দ্রুত পাস করে দেবে। এর মাধ্যমে আমরা খালগুলোর পূর্ণ সংরক্ষণ এবং সেগুলো ঘিরে নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারবো। তাহলে আর এ অযাচিত দখল করতে পারবে না।
এর আগে তিনি পোস্তগোলা এলাকায় ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডের বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র (এসটিএস) উদ্বোধন, পোস্তগোলা শ্মশানঘাট এলাকায় পানিবদ্ধতা নিরসনে চলমান কার্যক্রম, বাসাবো বালুরমাঠ পুকুরে হাঁস অবমুক্ত করেন। এ সময় করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, সচিব আকরামুজ্জামান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ড. ফজলে শামসুল কবির, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী মোর্শেদ হোসেন কামাল, সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাগণ, সাধারণ আসন ও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলরবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন