ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ১, ১৯, ২৬, ৩৯, ৫৫, এবং ৫৬ নং ওয়ার্ডে ছয়টি কৃষকের বাজার প্রতি শুক্রবারে নিয়মিত পরিচালিত হচ্ছে। সুনির্দিষ্ট নীতিমালার মাধ্যমে ডিএসসিসির প্রতিটি ওয়ার্ডে কৃষকের বাজার স্থাপনের দাবি জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কৃষকের বাজারের অভিজ্ঞতা বিনিময় বিষয়ক এক সেমিনারে আলোচকদের পক্ষ থেকে এ দাবি জানানো হয়।
সেমিনারে স্থানীয় সরকার বিভাগের উন্নয়ন অধিশাখার যুগ্মসচিব নুমেরী জামান বলেন, কৃষকের বাজার প্রকল্পটির উদ্দেশ্য হলো দীর্ঘমেয়াদে মানুষকে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের দিকে আগ্রহী করে তোলা। পরিবহন ব্যবস্থা বাজারে কৃষকদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ। কৃষকরা তাদের লাভের অংশ দিয়ে পরিবহন ব্যবস্থা করতে পারে। আরও কিছুদিন যদি প্রণোদনা দেওয়ার প্রয়োজন হয় সেক্ষেত্রে সিটি কর্পোরেশনের পরিবহনগুলো কাজে লাগানো যেতে পারে। এ প্রকল্পটি শেষ হয়ে গেলেও নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে আমরা কিছু পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারব, যার মাধ্যমে প্রতিটি সিটি কর্পোরেশন ও মিউনিসিপালিটিতে কৃষকের বাজার সম্প্রসারিত করা সম্ভব হবে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, বর্তমান বাজার ব্যবস্থা ভোক্তার সন্তুষ্টির ওপর নির্ভরশীল। কৃষকের বাজার ভোক্তা ও কৃষক উভয়ের সন্তুষ্টি অর্জনে সক্ষম হয়েছে। নিরাপদ চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করার জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরকে উদ্যোগী হতে হবে। বাজারগুলো টেকসই করার ক্ষেত্রে স্থানীয় কাউন্সিলরদের সহযোগিতা ও সম্পৃক্ততা প্রয়োজন। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র-১ শহিদ উল্লাহ বলেন, বাজারগুলো টেকসই করার জন্য আজ আপনারা যে মতামত দিয়েছেন, সে অনুযায়ী আমরা উদ্যোগ গ্রহণ করব। পর্যায়ক্রমে প্রতিটি ওয়ার্ডে কৃষকের বাজার স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন।
ঢাকা ফুড সিস্টেম প্রজেক্টের সিনিয়র টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার জাভিয়ে বোয়ান বলেন, কৃষকের বাজার অন্য বাজারের থেকে পৃথক। কারণ এখানে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে যাচাইকৃত কৃষক নিরাপদ খাদ্য সরবরাহ করছে এবং জনগণের নিরাপদ খাদ্যের চাহিদা পূরণে অবদান রাখছে। মন্ত্রণালয় থেকেও কৃষকের বাজার গুরুত্ব পেয়েছে। আমরা প্রত্যাশা করি এ বাজারগুলো স্থায়ী হবে এবং সংখ্যায় বৃদ্ধি পাবে।
ঢাকা ফুড সিস্টেম প্রজেক্টের ন্যাশনাল প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর জয়নাল আবেদীন বলেন, ঢাকা ফুড সিস্টেম প্রকল্প নগরের খাদ্য ব্যবস্থা উন্নয়নে কাজ করছে। বর্তমানে আমরা ঢাকা ফুড এজেন্ডা ২০৪১ তৈরিতে কাজ করছি, যা অনুমোদিত হলে ঢাকার খাদ্য ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে কার্যকরী ভূমিকা পালনে আমরা সক্ষম হবো। ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ ট্রাস্টের পরিচালক গাউস পিয়ারী বলেন, নগরবাসীকে নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর খাদ্য পৌঁছে দিতে ঢাকা ফুড সিস্টেম প্রকল্পের আওতায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ছয়টি ওয়ার্ডে অংশীদারদের সমন্বয়ে কৃষকের বাজার স্থাপিত হয়েছে। প্রকল্প শেষে বাজারগুলো টেকসই করে গড়ে তোলাই আমাদের মূল লক্ষ্য।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন