সরকারি সব চাকরির ক্ষেত্রে নিয়োগে (বিসিএস ছাড়া) প্রার্থীদের সর্বোচ্চ বয়সসীমায় ৩৯ মাস ছাড় দিয়েছে সরকার। গতকাল বৃহস্পতিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ–সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জারি করা নির্দেশনায় বলা হয়, আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত যত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হবে, তাতে প্রার্থীদের বয়সসীমা নির্ধারণ করতে হবে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ পর্যন্ত ।
অর্থাৎ ২০২০ সালের ২৫ মার্চের পর যাদের চাকরিতে প্রবেশের সর্বোচ্চ বয়স ৩০ বছর পার হয়েছে, তারা ২০২৩ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত জারি করা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করতে পারবে। শুধু বিসিএস পরীক্ষা দিতে পারবে না। এতে সরকারি চাকরি প্রার্থীরা বয়সের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩৯ মাস ছাড় পাচ্ছেন। করোনার কারণে এর আগেও চাকরি প্রার্থীদের বয়সের ক্ষেত্রে দুই দফায় ছাড় দেয়া হয়েছে। প্রথম দফায় সাধারণ ছুটির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত চাকরিপ্রার্থীদের বয়সের ক্ষেত্রে ছাড় দেয় সরকার। তখন গত বছরের ২৫ মার্চের পর যাদের বয়স ৩০ বছর পূর্ণ হয়েছিল তাদের পরবর্তী ৫ মাস, অর্থাৎ আগস্ট পর্যন্ত সরকারি চাকরিতে আবেদনের সুযোগ দেয়া হয়। কিন্তু এরপর করোনার নতুন ঢেউ এলে আবারো লকডাউন দেয় সরকার। এরপর গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অর্থাৎ ২১ মাস বয়সের ছাড় পান সরকারি চাকরিপ্রার্থীরা। বর্তমানে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ বছর, বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ক্ষেত্রে ৩২ বছর। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হয়। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পদগুলোতে নিয়োগের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরের।
করোনা মহামারি বেকারত্ব আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। কয়েক লাখ চাকরিপ্রার্থীর ন্যূনতম বয়স লকডাউনের মধ্যে চলে গেছে বলে জানিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীদের বয়স বাড়ানোর আন্দোলন করা সংগঠনগুলো। গত ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতির দিকে যেতে থাকলে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করে সরকার। এরপর দফায় দফায় ছুটি বাড়তে থাকে। ওই বছরের ৩০ মে পর্যন্ত টানা ৬৬ দিন সাধারণ ছুটি ছিল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন