সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে সমাবেশ শুরু করার আগেই পুলিশি বাধায় পন্ড হয়ে গেছে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে তিন নারীসহ ১২ জনকে আটক করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে আন্দোলনকারীরা। তবে পুলিশ সাতজনের আটকের কথা স্বীকার করেছে। গতকাল দুপুরে শাহবাগের পাবলিক লাইব্রেরির সামনে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদ তাদের কর্মসূচি পালন করতে গেলে এ ঘটনা ঘটে।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, তারা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করতে গেলে পুলিশ তাদের ওপরে হামলা করে। এতে ১৫ জনের বেশি কর্মী আহত হয়েছেন। এদের কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। তাদেরকে ঢাকা মেডিক্যালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তারা আরও বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ১২ জন কর্মীকে আটক করেছে। যাদের মধ্যে তিনজন নারী রয়েছেন। আন্দোলনকারীদের মুখপাত্র ইমতিয়াজ হোসেন বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে আসছি। কিন্তু আমাদের বার বার বাধা দেওয়া এবং নির্যাতন করা হচ্ছে। আটকদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। আরেক মুখপাত্র সঞ্জয় ঘোষ বলেন, শাহবাগ থানার ভেতরে তিন নারীসহ ১২ জন আটক আছে। তাদের জন্য দুপুরের খাবার পাঠানো হয়েছে। আটকদের মধ্যে কয়েকজন পুলিশের লাঠির আঘাতে গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের কারো হাটু ও কনুতে জখম রয়েছে। এছাড়া বিজিত শিকদার নামে একজনের কাঁধ ছুটে গেছে। আগামী সপ্তাহে তার কাঁধে অস্ত্রোপচার করতে হবে বলে ঢাকা মেডিক্যালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী দুপুরের দিকে আন্দোলনকারীরা শাহবাগ পাবলিক লাইব্রেরির ভেতরে সংগঠিত হতে শুরু করে। একই সময়ে পুলিশও লাইব্রেরির বাইরে অবস্থান নেয়। আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভ শুরু করলে পুলিশ তাদের গেট আটকে রাখে। পরে আন্দোলনকারীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি রাজু ভাস্কর্যের দিকে প্রবেশ করতে চাইলেও পুলিশ তাদের বাধা দেয়। তখন আন্দোলনকারীরা উত্তেজিত হয়ে লাইব্রেরির ভেতরে বিভিন্ন স্লোগান দেয়।
আন্দোলনকারীদের কয়েকজন বলেন, পুলিশ শাহবাগে আন্দোলন করতে বাধা দিলে তারা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে কর্মসূচির অনুমতি চায়। তখন পুলিশ পাবলিক লাইব্রেরির গেট খুলে দিয়ে তাদেরকে বের হওয়ার সুযোগ দেয়। কিন্তু আন্দোলনকারীদের কয়েকজন বাইরে বেরোলে পুলিশ তাদের আটক করে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায়। এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ওসি আবুল হাসান বলেন, সাত জনকে আটক করা হয়েছে। আগামীকাল (আজ) প্রধানমন্ত্রীর প্রোগ্রাম উপলক্ষে শাহবাগ এলাকায় কোনো কর্মসূচির অনুমতি নেই। এ ছাড়া আন্দোলনকারীরা পুলিশের কাছ থেকে কোনো অনুমতি নেয়নি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন