ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার মীরডাঙ্গী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাকে কেন্দ্র করে গতকাল সোমবার এক সংঘর্ষে তিন জন আহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। আহতরা বর্তমানে রাণীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য কমেপ্লক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা যায়,গত ১০ আগষ্ট মীরডাঙ্গী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠনের লক্ষে ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হাফিজউদ্দীনের সভাপতিত্বে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান শিক্ষক ফারজানা আক্তারীসহ বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক অভিভাবকসহ কমিটির অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিন ওই বিদ্যালয়ে নতুন ম্যানেজিং কমিটি গঠনের লক্ষে সমাঝোতার মাধ্যমে ৪ জন অভিভাবক সদস্য নির্বাচিত করা হয়। নির্বাচিত কমিটিতে ঐ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মোশাররফ হোসেন ওরফে মুসা মাষ্ঠারের ভাই প্রফেসর মাসুদ রানাকে অভিভাবক সদস্য নির্বাচিত করায়। বিরোধীতা করেন বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হাফিজ উদ্দীন। তিনি এ নিয়ে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে মৌখিক অভিযোগ করেন। এদিকে সহকারী শিক্ষক মোসাররফ হোসেনের ভাইকে নিয়ে বিরোধীতা করায় বর্তমান সভাপতি হাফিজউদ্দীনের সাথে মুসা মাষ্টারের মীরডাঙ্গী বাজারে কথা কাটাকাটি হয়।
মীরডাঙ্গী বাজারে কথাকাটির জেরে মুসা মাষ্টারের স্ত্রী হুসনেয়ারা হাফিজউদ্দীনের বাসায় মৌখিক প্রতিবাদ করতে যান। এসময় দুই পক্ষের কথাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষে রুপান্তরিত হয়। ঘটনা স্থলে মোশারফ হোসেন মুসার স্ত্রী হুসনেয়ারা মাথায় চরম আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়েন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। অপর পক্ষে ২ জন আহত হলে তারাও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হন।
এদিকে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন ওই বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটির গঠনের পূর্বে কমিটি না ভেঙ্গে নির্বাচনী তফশীল না দিয়েই কমিটি গঠনের পায়তারা করা হয়েছে। অপরদিকে সংসদ সদস্য কর্তৃক মনোনীত দুজন বিদে্যুাৎসাহী সদস্য দেওয়ার বিধান থাকলেও ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের সংসদ সদস্য জাহিদুর রহমান চার জন্য ব্যক্তিকে বিদে্যুৎসাহী সদস্য করার জন্য মনোনীত করে তার প্যাডে সুপারিশ পত্র দিয়েছেন। যা নিয়েও একটি বিরোধ সৃষ্টি হয়। চারজনই কমিটিতে থাকার জন্য লবিং গ্রুপিং অব্যহত রাখেন।
এ ব্যাপার সহকারী শিক্ষক মোসাররফ হোসেন বলেন, সম্পূর্ণরুপে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হাফিজউদ্দীন তার লোকজন নিয়ে আমার স্ত্রীর উপর হামলা চালিয়েছে। বর্তমান সভাপতি হাফিজ উদ্দীনের কাছে এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি তাতে সাড়া দেননি।ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফারজানা আক্তারী বলেন, অভিভাবক সদস্য নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছিল। কিন্তু তফশীল ঘোষনা এখনো হয়নি। উরু চিঠি নিয়ে তারা যদি এ রকম ঘটনার সৃষ্টি করে তাহলে আমার করার কিছু নেই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন