ইনকিলাব ডেস্ক : কেরানীগঞ্জের পোড়াহাটি এলকায় পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে ২ ডাকাত। অপরদিকে ফরিদপুরে দু’দল ডাকাতের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে ২ জন।
কেরানীগঞ্জ উপজেলা সংবাদদাতা জানান, ঢাকার কেরানীগঞ্জ রোহিতপুর পোড়াহাটি এলাকায় পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে ২ ডাকাত নিহত হয়েছে। তাদের নিকট হতে বিদেশী তৈরী ১টি রিভলবার, গুলি ও দেশীয় ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। এই ঘটনায় ৬ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। আহতরা হলো উপ-পরিদর্শক রবি চরন চৌহান, উপ-পরিদর্শক বিপুল চন্দ্র দাস, উপ-পরিদর্শক রবিউদৌলা, সহকারী উপ-পরিদর্শক রিয়াজুল, কজন্সটেবল সামিউল ও কন্সটেবল মোকবুল হোসেন। এই ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার শাহ মিজান শাফিউর, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম, কেরানীগঞ্জ মডেল থানা সার্কেল সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান, কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ওসি ফেরদাউছ হোসেন, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ওসি মোঃ মনিরুল ইসলাম ও ঢাকা জেলা দক্ষিণ ডিবির ওসি সোয়েব মোল্লা প্রমুখ।
ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার শাহ মিজান শাফিউর লিখিত বক্তব্যে জানান, জিনজিরা গোবিন্দ জুয়েলার্স এর ডাকাতির ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে গত বুধবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে ডাকাত মনতাজুল ও সবুজকে আটক করা হয়। তাদের দেয়া তথ্যমতে ডিবি পুলিশ ও কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে বুধবার গভীর রাতে কেরানীগঞ্জের রোহিতপুর পোরাহাটি এলাকায় অন্যান্য ডাকাতদের গ্রেফতার, লুণ্ঠিত মালামাল ও অস্ত্র উদ্ধারের জন্য তাদের সেখানে নেয়া হয়। সেখানে অন্য ডাকাত দলের সদস্যরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে এসময় তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। পুলিশও তাদের ওপর পাল্টা গুলি ছুরে। এতে ২ ডাকাত গুলিবিদ্ধ হলে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ মনতাজুল ইসলাম (৩০) ও সবুজ (৩২) আহত অবস্থায় উদ্ধার করে মিটফোর্ড হাসাপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।। অন্যান্য ডাকাতরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
তিনি আরো জানান. মনতাজুল ইসলাম আন্তঃজেলার ডাকাত দলের সর্দার। তার বিরুদ্ধে ডাকাতিসহ ৭টি মামলা রয়েছে। রাজধানীর কামরাঙ্গীর চরে তার একটি বিশাল ডিপার্মেন্টাল দোকান রয়েছে। ডাকাতি করা মালামাল সে এই দোকানের মাধ্যমে বিক্রি করে থাকে। তার গ্রামের বাড়ি শরীয়তপুর জেলায়। অন্য ডাকাত দলের সদস্য সবুজের বিরুদ্ধেও ৩টি মামলা রয়েছে।
ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা জানান, ফরিদপুর শহরের বাইপাস সড়কের পিয়ারপুর এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’দল ডাকাতের বন্দুকযুদ্ধে দু’জন নিহত হয়েছে। বুধবার রাত একটার দিকে এঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ১টি নাইন এমএম পিস্তল, ২ রাউন্ড গুলি ও ৮টি হাতবোমা উদ্ধার করে। নিহতরা হলেন ফারুক হোসেন ও হৃদয় হোসেন মানিক ওরফে ল্যাংড়া মানিক। ফারুকের শরিয়তপুর জেলার পালং থানার পশ্চিম চর রসুনদি গ্রামের মৃত. আব্দুল করিম ফকিরের পুত্র এবং মানিক বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার কদমতলা গ্রামের রতন মিয়ার পুত্র।
ফরিদপুরের কোতয়ালী মডেল থানার সহকারী পুলিশ সুপার এসএম মহিউদ্দিন জানান, ফারুকের নামে বিভিন্ন দেশের থানায় ডাকাতি, হত্যা ও বিষ্ফোড়ক আইনে ছয়টি মামলা এবং মানিকের বিরুদ্ধে চারটি মামলা রয়েছে। তিনি আরো জানান এরা উভয়েই ফরিদপুরের চাঞ্চল্যকর মেঘনা জুয়েলার্সে ডাকাতির মামালার আসামী।
ফরিদপুরের কোতয়ালী থানার অফিসার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজিম উদ্দিন জানান, বুধবার দিবাগত রাত একটার দিকে শহরের পিয়ারপুর এলাকার বাইপাস সড়কের পাশে দুইদল ডাকাত আদিপত্ত বিস্তারকে কেন্দ্র করে বন্দুকযুদ্ধে লিপ্ত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ৭ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত দল পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই ডাকাতকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন