বুবলির সাথে শাকিব খানের বিয়ে এবং সন্তান হওয়ার খবর প্রকাশ হওয়ার পর শাকিবকে নিয়ে নানা ধরনের নেতিবাচক খবর প্রকাশিত হচ্ছে। কেউ ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিচ্ছে, কেউ মুখে মুখে বলছে। এসব নেতিবাচক খবরের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ায় শাকিবের অপকর্মের একটি ঘটনা তুলে ধরে স্ট্যাটাস দিয়েছে মিলি সুলতানা নামে এক প্রবাসী সাংবাদিক। তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে শাকিবের সেই ঘটনার বিবরণ দিয়ে তিনি লিখেছেন, অথর্ব খানের ‘সুপারহিরো’ সিনেমার শুটিং হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ায়। নায়িকা ছিলেন বুবলী। প্রযোজকের কাছে খান সাহেবের ফরমায়েশ ছিল, হোটেলে তার ঠিক পরের কামরা যেন বুবলীর জন্য দেয়া হয়। যাতে বুবলীর সাথে তিনার লারেলাপ্পা মার্কা রোমান্স নির্বিঘ্নে কন্টিনিউ করতে পারে। হলোও তাই। সিনেমার শুটিংয়ের সাথে ধুমায়ে চলতে লাগল তাদের হোটেল রোমান্স। ২০১৮ সালে তার জন্য বিপদ হয়ে এলো বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত এক অস্ট্রেলিয়ান নারী। জানা গেছে, শাকিবের একটি সিনেমার সহ-প্রযোজক ছিল সেই নারী। তার নাম অ্যানি সাবমেরিন। সেই রমণীকে দেখে মজে যান ঢালিউডের প্রেমকুমার। ভাবলেন, ফ্রিতে হাড়িপ্পা হাড়িপ্পা খেললে মন্দ কি? অ্যানি সাবমেরিন বিবাহিতা। তার স্বামী পেশায় চিকিৎসক ছিলেন। অ্যানিকে আমাদের দেশের মোশাররফ করিম, তাহসান, কনারা ভালো করে চেনেন হয়তবা। তার সাথে মোশাররফ করিমের ভাব ধরা ভ্যারাইটিজ সেলফি দেখে সেটাই মনে হলো। ২০১৮ সালে অ্যানি মারাত্মক ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ে দিলেন স্বঘোষিত কিং খানের উদ্দেশ্যে। তিনি কিং খানের অশ্লীল যৌনতার শিকার হয়েছেন। যার ফলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল। ডাক্তারের কাগজপত্রেও সেই উল্লেখ ছিল। অস্ট্রেলিয়ান পুলিশের কাছে খান সাহেবের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে অ্যানি সাবমেরিন। পুলিশ নায়ককে আটক করতে যাওয়ার আগে খবর পৌঁছে যায় তার কানে। ফোন করেন জনৈক প্রভাবশালী ইমিগ্রেশন ল ইয়ারকে। সেই প্রভাবশালী ল ইয়ার খান সাহেবের দোসর বনে যান, পুলিশের কার্যক্রম স্থগিত করে দেন। পুলিশের গ্রেপ্তার থেকে বেঁচে যান কিং খান। অ্যানি সাবমেরিন যে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল সেই হাসপাতালে ডিউটি ডাক্তার ছিলেন তার স্বামী। স্ত্রীর চারিত্রিক স্খলন দেখে ডিভোর্স দেন। কিং খানের এক ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি গোপনে প্লেনের টিকিট কেটে তাকে প্লেনে বসিয়ে দেন। এভাবে অস্ট্রেলিয়া থেকে বাংলাদেশে চ¤পট দেন কিং খান। আর রেপের বিষয়ে যখন তাকে জিজ্ঞেস করা হয় তিনি বলেছিলেন, আমি কেন তাকে (অ্যানি) রেপ করতে যাব? বরং সে-ই আমাকে ড্রিংক করিয়ে বেসামাল করে দেয়। তারপর যা হয়েছে তা দুজনের সম্মতিতেই হয়েছে। অ্যানি আমাকে প্রলুব্ধ করেছে। এমন অবস্থায় আমি কি তসবি পড়ব? মজার বিষয়, বুবলীও তখন অস্ট্রেলিয়া ছিলেন। কিন্তু বুবলী ঘুর্ণাক্ষরেও বুঝতে পারেননি তার পিঠপিছে অ্যানি সাবমেরিনের সাথে লীলাখেলায় মেতেছিলেন তার প্রেমকুমার। হায়রে এভাবেও কেউ ঠক খায়? মিলির এই স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও চলচ্চিত্রাঙ্গণে তোলপাড় চলছে। অন্যদিকে, কলকাতার সিনেমায় অভিনয় করার সময়ও নাকি শাকিব সেখানের এক নায়িকার সাথে অশালীন কাজে জড়িয়ে পড়েন। তখন তাকে তার পারিশ্রমিকের টাকা দিয়ে বিষয়টি মিমাংসা করতে হয়। শাকিবকে নিয়ে এখন এ ধরনের নানা কেচ্ছা-কাহিনী চলচ্চিত্রাঙ্গণে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অনেকে বলছেন, মিলি সুলতানা যে স্ট্যাটাস দিয়েছে, তা যদি অসত্য হয়, তবে তার বিরুদ্ধে শাকিবের ব্যবস্থা নেয়া এবং বক্তব্য দিয়ে তার ব্যাখ্যা দেয়া উচিৎ। নীরব থাকলে এসব ঘটনা সত্য বলে বিবেচিত হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন