জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, বিএনপির সঙ্গে আওয়ামী লীগের নীতিগত পার্থক্য থাকলেও তাদের কর্মকাণ্ড একই। দেশের মানুষ এদের বাইরে অন্য কাউকে চায়। দেশের মানুষ সামাজিক নিরাপত্তা চায়, দেশের মানুষ তাদের জান-মালের নিরাপত্তা চায়, খুন ধর্ষণ লুটপাট থেকে উদ্ধার চায়। আমরা দেশের মানুষকে সুস্থ রাজনীতি উপহার দিতে চাই। যে জন্য আওয়ামী লীগ সরকারকে সমর্থন দেয়া হয়েছিল তার বাস্তব প্রতিফলন ঘটেনি। এ সরকার ক্ষমতায় এসে যা করছে তা বিএনপির চেয়ে এক ডিগ্রী বেশি। আমরা এর পরিবর্তন চাই।
তিনি আজ সোমবার দুপুরে রংপুর সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন।
নির্বাচনে জোট গঠনের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জিএম কাদের বলেন, এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আমাদের নির্বাচনে যাওয়া না যাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এটার উপর আমাদের ভবিষ্যৎ রাজনীতির অস্তিত্ব নির্ভর করছে। তাই তৃণমূল থেকে দলের উচ্চ পর্যায়ে নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
এরশাদের শাসনামলের কথা উল্লেখ করে জিএম কাদের বলেন, এরশাদের শাসনামলে এসব ছিল না। সংখ্যালঘুরা ভালো ছিল। দেশে সুশাসন ছিল। দুর্নীতি কম ছিল। আমরা তেমন সুশাসন নিশ্চিত করে দেশকে এগিয়ে নিতে চাই।
দেশের সার্বিক পরিস্থিতি অত্যন্ত নাজুক উল্লেখ করে জিএম কাদের বলেন, রাজনৈতিক পরিস্থিতি অস্থিতিশীল। সামনে নির্বাচন। কিন্তু আমরা এখন পর্যন্ত কিছুই বুঝতে পারছি না। নির্বাচনে সব দল অংশ নেবে কিনা, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে কিনা তা বুঝতে পারছি না।
দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা আরো বেশি নাজুক জানিয়ে জিএম কাদের বলেন, দেশে প্রবাসী আয় কমে যাচ্ছে। যেখানে আমদানি ব্যয় বাড়ছে, রিজার্ভ কমে আসছে। সেখানে বিভিন্ন মেগা প্রকল্পের যে ঋণ তার বোঝা দেশ কতটুকু বইতে পারবে তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছি।
জাতীয় পার্টিতে ভাঙনের বিষয়ে জিএম কাদের বলেন, একটা দলে থাকলে অনেকেই নির্বাচন করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। এরমধ্য থেকে আমরা একজনকেই বেছে নেই। রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে।
এসময় জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রংপুর সিটি কর্পোরেশন মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, রংপুর জেলা জাতীয় পাটির আহ্বায়ক বীরমুক্তিযোদ্ধা আবুল মাসুদ নান্টু, সদস্য সচিব আব্দুর রাজ্জাক, মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এসএম ইয়াসীরসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। ## হালিম আনছারী, রংপুর। ০৩-১০-২২
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন