শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আন্তর্জাতিক সংবাদ

ইউক্রেনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা : জি-৭-এর পদক্ষেপ

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১২ অক্টোবর, ২০২২, ১১:৪৪ এএম

ক্রিমিয়া উপদ্বীপের কার্চ সেতুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রতিশোধ হিসেবে সোম ও মঙ্গলবার ইউক্রেনজুড়ে বৃষ্টির মতো ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে রাশিয়া। এমন পরিস্থিতিতে মিত্র কিয়েভকে ‘যতদিন লাগে সমর্থন’ করে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন শিল্পোন্নত দেশগুলোর সংস্থা গ্রুপ অব সেভেনের (জি-৭) নেতারা। খবর বিবিসি’র।

ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরের নতুন করে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে রুশ বাহিনী। এসব হামলায় অনেক বেসামরিক স্থাপনা মুহূর্তে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। জরুরি পরিষেবা বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, সোমবার ইউক্রেনজুড়ে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ১৯ জন নিহত এবং ১০৫ জন আহত হয়েছেন।

কার্চ সেতুতে ট্যাংকারে বিস্ফোরণে ইউক্রেন জড়িত রয়েছে বলে বিশ্বাস করেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ফলে ধারণা করা হচ্ছে, প্রতিশোধ নিতেই কিয়েভসহ একাধিক শহরে নির্বিচারে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে তার সামরিক বাহিনী।

এ পরিস্থিতিতে করণীয় নিয়ে মঙ্গলবার জরুরি ভার্চুয়ালি বৈঠকে বসেন জি-৭ নেতারা। ইউক্রেনকে মানবিক ও সামরিক সহায়তা অব্যাহত রাখার বিষয়ে একমত হয়েছেন তারা। এদিন বৈঠকে যুক্ত হন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও।

বৈঠকের পর জোট বিবৃতিতে জানিয়েছে, 'আমরা আর্থিক, মানবিক, সামরিক, কূটনৈতিক এবং আইনি সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখবো। ইউক্রেনকে যতদিন প্রয়োজন হয় সমর্থন করে যাবো।'

অর্থনৈতিকভাবে উন্নত সাতটি দেশ কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, ইতালি, জার্মানি ও জাপানকে নিয়ে গঠিত জি-৭ জোট।

একইদিন পশ্চিমাদের সামরিক জোট ন্যাটো মহাসচিব জেন্স স্টলটেনবার্গ জানিয়েছেন, 'যতদিন প্রয়োজন ইউক্রেনের পাশে দৃঢ়ভাবে দাঁড়াবে সামরিক জোটটি। যুদ্ধের কারণে সরবরাহ কম হওয়ায় ন্যাটোকে আরও অস্ত্র তৈরি করতে হবে। ন্যাটো সদস্য দেশ ও প্রতিরক্ষা সংস্থাগুলোর সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা চলছে।'

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন