বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, গ্রিড বিপর্যয়ের ঘটনায় চাকরি গেলে এমডির যাওয়ার কথা। কারণ, এমডির তো সবকিছু খেয়াল করার কথা। আর এনএলডিসি স্থাপন হয়েছে অনেক আগে। যেটাকে ডিজিটালাইজড করার কথা। যেটা দিয়ে সারা দেশে বিদ্যুৎ কোথায় কী হচ্ছে দেখবে। সেটাকে এখন ম্যানুয়াল করে রাখা হয়েছে।তিনি বলেন, গ্রিড বিপর্যয়ের ঘটনায় বিদ্যুৎমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত ছিল।
তিনি আরও বলেন, এতে ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে সুবিধা হচ্ছে। চুরি-দুর্নীতি করার জন্য এটাকে ডিজিটালাইজড করেনি, এনালগ করে রেখেছে। মোট কথা হচ্ছে পুরোটাই হচ্ছে চুরি, আর জনগণ সেটাকে বহন করবে। শুক্রবার (২১ অক্টোবর) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসেনর কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু এবং স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
গ্রিড বিপর্যয়ে বিদ্যুৎ মন্ত্রীর কোনও দায় আছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে ইকবাল হাসান মাহমুদ বলেন, অব্যশই দায় আছে। তার তো পদত্যাগ করা উচিত। উল্টো তিনি প্রশ্ন করছেন ফখরুল আর টুকু কী বোঝে? আমি তো ৫ বছর মন্ত্রী ছিলাম না, সাড়ে ৪ বছর ছিলাম। তাও বিদ্যুতের প্রত্যেকটা জিনিস বুঝি। সে তো ১৫ বছর মন্ত্রী। তার আরও বেশি বোঝা উচিত।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, গ্রিড বিপর্যয়ের ঘটনায় প্রায় দুই সপ্তাহ পার হলেও এখনও বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ জানানো হয়নি। এই অদক্ষ সরকারের পরিকল্পনাহীনতা, অপরিণামদর্শিতা ও জবাবদিহিহীনতার কারণেই তারা এমন উদাসীনতা দেখাতে পারছে। পিজিসিবির কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়াই তো মুখ্য নয়। লোক দেখানো গল্প-কথার প্রতিবেদন নয়। জাতি জানতে চায় কেন এই বিপর্যয় ঘটলো এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের বিপর্যয় এড়াবার রোড-ম্যাপ কী।
তিনি আরও বলেন, বিশস্ত সূত্রে জানা যায় ঘোড়াশাল গ্রিডের কোনো এক লাইন ট্রিপ করায় অন্য লাইন ওভারলোড হয়ে ধারাবাহিক ট্রিপের কারণে বিদ্যুৎ বিপর্যয় হয়েছে। ঘোড়াশাল কেন্দ্রটিতে ফুল লোড দিতে গেলে এ সমস্যার সূত্রপাত। এ কথাটি সত্য হলে প্রশ্ন হলো এ কেন্দ্রটিতো নতুন। এই চীনা কেন্দ্রটি চালু করার আগে ‘ফুল লোড টেস্ট’ করা হয়েছে কি না পিডিবিকে তা স্পষ্ট করতে হবে। বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, অভিযোগ রয়েছে- দেশে বেসরকারি পর্যায়ে স্থাপিত রেন্টাল, কুইক রেন্টাল ও দীর্ঘমেয়াদের কিছু আইপিপি কেন্দ্রের যন্ত্রপাতি, বিশেষ করে জেনারেটরগুলো মানসম্পন্ন নয়। এছাড়া রেন্টাল, কুইক রেন্টাল কেন্দ্রগুলো বেজ লোডকেন্দ্র হিসেবে স্থাপন করা হয়নি। এসব কেন্দ্রের কারণেও গ্রিড ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ছে।
ইনকিলাব ডেস্ক : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, গ্রিড বিপর্যয়ের ঘটনায় চাকরি গেলে এমডির যাওয়ার কথা। কারণ, এমডির তো সবকিছু খেয়াল করার কথা। আর এনএলডিসি স্থাপন হয়েছে অনেক আগে। যেটাকে ডিজিটালাইজড করার কথা। যেটা দিয়ে সারা দেশে বিদ্যুৎ কোথায় কী হচ্ছে দেখবে। সেটাকে এখন ম্যানুয়াল করে রাখা হয়েছে।তিনি বলেন, গ্রিড বিপর্যয়ের ঘটনায় বিদ্যুৎমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত ছিল।
তিনি আরও বলেন, এতে ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে সুবিধা হচ্ছে। চুরি-দুর্নীতি করার জন্য এটাকে ডিজিটালাইজড করেনি, এনালগ করে রেখেছে। মোট কথা হচ্ছে পুরোটাই হচ্ছে চুরি, আর জনগণ সেটাকে বহন করবে। শুক্রবার (২১ অক্টোবর) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসেনর কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু এবং স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
গ্রিড বিপর্যয়ে বিদ্যুৎ মন্ত্রীর কোনও দায় আছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে ইকবাল হাসান মাহমুদ বলেন, অব্যশই দায় আছে। তার তো পদত্যাগ করা উচিত। উল্টো তিনি প্রশ্ন করছেন ফখরুল আর টুকু কী বোঝে? আমি তো ৫ বছর মন্ত্রী ছিলাম না, সাড়ে ৪ বছর ছিলাম। তাও বিদ্যুতের প্রত্যেকটা জিনিস বুঝি। সে তো ১৫ বছর মন্ত্রী। তার আরও বেশি বোঝা উচিত।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, গ্রিড বিপর্যয়ের ঘটনায় প্রায় দুই সপ্তাহ পার হলেও এখনও বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ জানানো হয়নি। এই অদক্ষ সরকারের পরিকল্পনাহীনতা, অপরিণামদর্শিতা ও জবাবদিহিহীনতার কারণেই তারা এমন উদাসীনতা দেখাতে পারছে। পিজিসিবির কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়াই তো মুখ্য নয়। লোক দেখানো গল্প-কথার প্রতিবেদন নয়। জাতি জানতে চায় কেন এই বিপর্যয় ঘটলো এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের বিপর্যয় এড়াবার রোড-ম্যাপ কী।
তিনি আরও বলেন, বিশস্ত সূত্রে জানা যায় ঘোড়াশাল গ্রিডের কোনো এক লাইন ট্রিপ করায় অন্য লাইন ওভারলোড হয়ে ধারাবাহিক ট্রিপের কারণে বিদ্যুৎ বিপর্যয় হয়েছে। ঘোড়াশাল কেন্দ্রটিতে ফুল লোড দিতে গেলে এ সমস্যার সূত্রপাত। এ কথাটি সত্য হলে প্রশ্ন হলো এ কেন্দ্রটিতো নতুন। এই চীনা কেন্দ্রটি চালু করার আগে ‘ফুল লোড টেস্ট’ করা হয়েছে কি না পিডিবিকে তা স্পষ্ট করতে হবে। বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, অভিযোগ রয়েছে- দেশে বেসরকারি পর্যায়ে স্থাপিত রেন্টাল, কুইক রেন্টাল ও দীর্ঘমেয়াদের কিছু আইপিপি কেন্দ্রের যন্ত্রপাতি, বিশেষ করে জেনারেটরগুলো মানসম্পন্ন নয়। এছাড়া রেন্টাল, কুইক রেন্টাল কেন্দ্রগুলো বেজ লোডকেন্দ্র হিসেবে স্থাপন করা হয়নি। এসব কেন্দ্রের কারণেও গ্রিড ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন