দুর্নীতির দায়ে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে পাঁচ বছরের জন্য নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল দেশটির নির্বাচন কমিশন। এবার সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) প্রধান ইমরান খান। স্থানীয় সময় আজ শনিবার ইসলামাবাদ হাইকোর্টে তিনি এই বিষয়ে একটি আবেদন দাখিল করেন।
সরকারি তোষাখানায় থাকা উপহার সামগ্রী এবং বিক্রয় থেকে আয়ের বিশদ বিবরণ প্রকাশ না করার অভিযোগে ক্ষমতাসীন জোট সরকার গত আগস্টে ইমরান খানের বিরুদ্ধে স্পিকারের কাছে অভিযোগ দেয়। তিনি পরে সেটি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) সিকান্দার সুলতান রাজার কাছে পাঠান। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই কমিশন ইমরান খানকে ৫ বছরের জন্য নির্বাচনের অযোগ্য বলে ঘোষণা করে।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী ২৪ অক্টোবর (সোমবার) ইসলামাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি আতহার মিনাল্লাহর বেঞ্চে এই আবেদন উত্থাপন করা হবে।
পাকিস্তানে তোষাখানা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৭৪ সালে। এটি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণাধীন একটি বিভাগ। সরকার ও অন্যান্য রাজ্যপ্রধান এবং বিদেশি বিশিষ্ট ব্যক্তিরা শাসক, সংসদ সদস্য, আমলা ও কর্মকর্তাদের যেসব উপহারসামগ্রী দেন, সেগুলো সংরক্ষণের দায়িত্বে থাকা একটি দপ্তর এটি।
তোষাখানার নিয়ম অনুসারে, প্রযোজ্য ব্যক্তিদের দেওয়া উপহার এবং অন্যান্য উপকরণ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে নিয়মিত রিপোর্ট করতে হয়। ২০১৮ সালে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে পিটিআই সরকার ইমরানকে দেওয়া উপহারের বিবরণ প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক ছিল। যুক্তি ছিল, এটি আন্তর্জাতিক সম্পর্ককে হুমকির মুখে ফেলবে। তবে গত ৮ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া লিখিত জবাবে ইমরান প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন তাঁর প্রাপ্ত কমপক্ষে চারটি উপহার বিক্রি করার কথা স্বীকার করেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী তাঁর জবাবের সপক্ষে যুক্তি দেখিয়ে বলেন, তিনি রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে ২১ দশমিক ৫৬ মিলিয়ন রুপি দিয়ে উপহারগুলো সংগ্রহ করেছিলেন, তা বিক্রি করে প্রায় ৫৮ মিলিয়ন রুপি পাওয়া গেছে। উপহারগুলো মধ্যে রয়েছে—একটি গ্রাফ হাতঘড়ি, এক জোড়া কাফ লিংক, একটি দামি কলম এবং একটি আংটি—এসব মিলিয়ে একটি সেট; অন্য তিনটি উপহারের মধ্যে রয়েছে চারটি রোলেক্স ঘড়ি। সূত্র : দ্য ডন
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন