শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

বিএনপির মরা গাঙে ঢেউ এসেছে

সাংবাদিকদের ওবায়দুল কাদের

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৪ অক্টোবর, ২০২২, ১২:০০ এএম

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ক্ষমতায় আসতে চাইলে নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। মরা গাঙে কিছুটা ঢেউ দেখে মনকলা খাচ্ছে বিএনপি। ১৩ বছর খরার পর বিএনপির আন্দোলনের মরা গাঙে জোয়ার এসেছে। বিএনপির আন্দোলনতো খরার মধ্যে ছিল, এখন একটু বৃষ্টি দেখেছে। কিছু ঢেউ দেখতে পাচ্ছে, এটাকেই তারা ভাবছেন লক্ষ লোকের ঢেউ।
গতকাল রোববার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মেট্রোরেল-১ (এমআরটি লাইন-১)-এর নির্মাণ কাজ তদারকির জন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে ছয়টি এমআরটি লাইন নির্মাণ করা হবে। স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য প্রয়োজন স্মার্ট যানবাহন। পৃথিবী এগিয়ে চলেছে আমরা পিছিয়ে থাকতে পারি না। আগামী ডিসেম্বরে মাসে বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের স্বপ্নের প্রজেক্ট এমআরটি লাইন-৬ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করবেন। প্রথম অংশ এসময় উদ্বোধন করা হবে। ২০৩০ সালের মধ্যে আমরা ছয়টি এমআরটি লাইন তৈরি করবো।
গতকাল রোববার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে ঢাকা ম্যাস ট্রান্সজিট কোম্পানি লিমিটেড আয়োজিত এমআরটি লাইন-১ (মেট্রোরেল) এর নির্মাণ কাজ তদারকির জন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি সই অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, জাপানের মাধ্যমে বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা এগিয়ে চলেছে। এমআরটি-১ প্রকল্পের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে বহুজাতিক কনসোর্টিয়ামের নিপ্পন কোআই করপোরেশন কোম্পানি জেভির সঙ্গে চুক্তি সই হয়েছে। এ কনসোর্টিয়ামে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে দেশি-বিদেশি ৮টি প্রতিষ্ঠান। চুক্তিতে সই করেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক এবং নিপ্পন কোয়াই কোম্পানি লিমিটেডের প্রতিনিধি নাও কি কুদো। পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৫১৭ কোটি ২৪ লাখ টাকা। এরমধ্যে জাইকা অর্থায়ন করছে ১ হাজার ১২৩ কোটি টাকা ও বাংলাদেশ সরকার অর্থায়ন করছে ৩৯৩ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট (লাইন-১) প্রকল্পের বাস্তবায়ন করছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড। এ প্রকল্প ব্যয় মোট ব্যয় ৫২,৫৬১ দশমিক ৪৩ কোটি টাকা।

এরমধ্যে প্রকল্প সহায়তা বাবদ জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) অর্থায়ন করছে ৩৯ হাজার ৪৫০ কোটি ৩২ লাখ টাকা। বাকি ১৩ হাজার ১১১ কোটি ১১ লাখ টাকা দেবে বাংলাদেশ সরকার। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে শুরু হওয়া এ প্রকল্প ২০২৬ সালের ডিসেম্বরে শেষ হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। ২০২৬ সালে এমআরটি লাইন-১ চালু হলে দৈনিক ৮ লাখ যাত্রী পরিবহন সক্ষমতা তৈরি হবে। এমআরটি-১ প্রকল্পটি বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ১৬ দশমিক ২১ কিলোমিটার আন্ডারগ্রাউন্ড এবং কুড়িল থেকে পূর্বাচল ডিপো পর্যন্ত ১১ দশমিক ৩৬ কিলোমিটার এলিভেটেড বা উড়াল সেতু তৈরি করা হবে।
এছাড়া নতুন বাজার থেকে কুড়িল পর্যন্ত ৩ দশমিক ৬৫ কিলোমিটার আন্ডারগ্রাউন্ড ট্রানজিশন লাইনসহ ৩১ দশমিক ২৪ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণ করা হবে। এই মেট্রোরেলের ১২টি স্টেশন থাকবে মাটির নিচে এবং ৭টি থাকবে উড়াল সেতুর ওপর।

এমআরটি-১ বাদে মেট্রোরেলের অপর ৫ রুটের নির্মাণকাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। অধিকাংশের কাজ প্রাথমিক পর্যায়ে থাকলেও সবচেয়ে বেশি অগ্রগতি এমআরটি লাইন-৬ এর, যা উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত। ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে এর কাজ শেষ করার কথা রয়েছে। প্রথম অংশ বা উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত উদ্বোধন করা হবে স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে চলতি বছরের ১৬ ডিসেম্বর।

এদিকে, নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এ দুর্যোগেও নারায়ণগঞ্জে সম্মেলনে হয়েছে। খেলা হবে ভোট জালিয়াতি, লুটপাট, দুর্নীতি, গুম-খুনের, নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে। বিএনপির বিরুদ্ধে খেলা হবে। আসল খেলা হবে ডিসেম্বরে। তত্ত্বাবধায়কের আশা বাদ দিন। উচ্চ আদালত এটা বাদ দিয়েছে। আগামীতে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন হবে। সরকার কোন হস্তক্ষেপ করবে না। আগামীতে মোকাবেলা হবে। গতকাল নারায়ণগঞ্জের ওসমানী স্টেডিয়াম মাঠে জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, আজ আমি নারায়ণগঞ্জে এসে আনন্দিত যে এক মঞ্চে দুই গণমানুষের নেতা শামীম ওসমান ও মেয়র আইভী পাশাপাশি আছেন। এরাই নারায়ণগঞ্জের শক্তি।

সম্মেলনের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক। বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী দিপু মনি, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট কাজী নজিবুল্লাহ হিরু, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, কার্যকরি পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট রিয়াজুল কবির কাওছার, আনোয়ার হোসেন, সাহাবউদ্দিন ফরাজী, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক একেএম শামীম ওসমান, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ডা. সেলিনা হায়াত আইভি, পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী ও ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ আল কায়সার হাসনাত প্রমুখ। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই ও সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহিদ বাদল

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন