শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মহানগর

ভবন নির্মাণে সিটি কর্পোরেশনের অনুমতি নিতে হবে: ডিএনসিসি মেয়র

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশের সময় : ২৬ অক্টোবর, ২০২২, ৭:০৮ পিএম

 


নগরে ভবন নির্মাণ করতে গেলে অবশ্যই সিটি কর্পোরেশনের অনুমতি নিতে হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন,

 

বুধবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ, সেন্টার ফর আরবান স্টাডিজ, ইউএন-হ্যাবিট্যাট এবং ডিএনসিসির সম্মিলিত আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।


আতিকুল ইসলাম বলেন, ঢাকা শহরে উন্মুক্ত স্থান ও গাছপালা ধ্বংস করে একের পর এক ভবন নির্মাণ করা হয়েছে নগরে অপরিকল্পিতভাবে স্থাপনা করা হচ্ছে। এগুলো কেন করা হচ্ছে, কার পরামর্শে হচ্ছে? সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। এখন সময় এসেছে নগরে ভবন নির্মাণ করতে গেলে অবশ্যই সিটি কর্পোরেশনের অনুমতি নিতে হবে। সবুজ এলাকা ও উন্মুক্ত স্থান ধ্বংস করে কিছু করতে দেয়া হবে না। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা ভাবতে হবে।


ডিএনসিসি মেয়র বলেন, এয়ারপোর্ট সড়কে বনানী চেয়ারম্যান বাড়ীর সামনে সিটি ফরেস্ট ছিল, সেটা ধ্বংস করে কেন সেতু ভবন করা হয়েছে। সেতু ভবনের পাশে আবার বিআরটিএ ভবন করা হয়েছে। কিছুদিন আগে আবারও গাছপালা কেটে ভবন নির্মাণ করতে গেলে আমি বন্ধ করে দেই। ড্যাপের মধ্যে এবং নগর পরিকল্পনায় এই জায়গা গুলোতে যদি সিটি ফরেস্ট থাকে তাহলে ভবন ভাঙতে হবে। নগরের প্রয়োজনে, জনগ‌নের স্বা‌র্থে যেকোনো ভবন ভাঙতে হবে।

সব বিভাগের সাথে সমন্বয় করে কাজ করতে হবে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, যে‌কোনো কা‌জ দে‌শের স্বা‌র্থে ও দ‌শের স্বার্থে হ‌লে আ‌মি আপনা‌দের সা‌থে যোগ দি‌বো। য‌দি নি‌জের স্বা‌র্থে হ‌য় তাহ‌লে আ‌মি আপনা‌দের সা‌থে নাই। সুন্দর নগরায়ন কর‌তে গে‌লে সবাই‌কে এক স‌ঙ্গে কাজ কর‌তে হ‌বে। অন‌্যা‌য়ের প্রতিবাদ কর‌তে হ‌বে।


তিনি বলেন, মিরপুর প্যারিস রোড সংলগ্ন মাঠটি প্লট আকারে কিভাবে বরাদ্দ দেয়া হলো? ষাটের দশকে মাস্টার প্লানে ও ১৯৮৭ সালের ন্যাশনাল হাউজিং অথরিটির লেআউটেও এটি উন্মুক্ত স্থান হিসেবে দেখানো আছে। ড্যাপের নকশায়ও এটি উন্মুক্ত স্থান হিসেবে রয়েছে। এখানে কিছুতেই প্লট হতে পারে না।


এসময় তি‌নি বর্তমান জলবায়ুর উদাহরণ টে‌নে ব‌লেন, আমরা প‌রি‌বেশ ধ্বংশ ক‌রে‌ছি। এখন প‌রি‌বেশ সেই ধ্বং‌শের প্রতি‌শোধ নি‌চ্ছে।

খাল উদ্ধার ও নদী বাঁচাতে হ‌বে জা‌নি‌য়ে মেয়র ব‌লেন, ঢাকার নদী বাঁচাতে হ‌বে আর নদী বাচা‌তে হ‌লে খাল খনন কর‌তে হ‌বে। ঢাকার খাল‌কে বাঁচাতে হ‌লে সিএস দা‌গের মাধ‌্যমে সীমানা নির্ধারন করতে হ‌বে। মহানগর জরিপ অনুসরণ করলে শহরকে বাঁচানো যাবে না। কল্যাণপুর রিটেনশন পন্ড দখল হয়ে গেছে। এগুলো উদ্ধারে আমরা কাজ করছি। খাল উদ্ধা‌রে সীমানা পিলার লাগা‌নো শুরু ক‌রে‌ছি।

 

আতিকুল ইসলাম আরও বলেন, দিন দিন তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। গাছ লাগাতে হবে। নগরবাসীকে ছাদবাগান করতে উৎসাহিত করছি। ছাদবাগান করলে ১০% ট্যাক্স রিবেট দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে। এই ফাইলটি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আশা করি দ্রুতই অনুমোদন হয়ে যাবে।

 

নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য সিটি কর্পোরেশন কাজ করছে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, হকারদের নগরের অংশ হিসেবে চিন্তা করে স্মার্ট ব্যবস্থাপনার আওতায় আনার জন্য মিরপুর দশ নম্বরে পাইলট প্রকল্প নিয়েছি। সপ্তাহে পাঁচ দিন নির্দিষ্ট হকাররা বিকাল ৪টার পর থেকে ফুটপাতে বসছে। অন্য সময় ফুটপাতে কোন হকার বসতে পারবে না। পর্যায়ক্রমে পুরো এলাকায় এটি চালু করা হবে। হলিডে মার্কেট ও ইভিনিং মার্কেট করার পরিকল্পনাও রয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন