শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

ব্রিটিশ মুসলিমরা ৭৫ শতাংশ লোককে মুসলিম হিসেবে দেখে খবর সঠিক নয়

দি মেইল অন সানডে’র সংশোধনী প্রকাশ

| প্রকাশের সময় : ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইন্ডি-১০০ : ব্রিটিশ মুসলিমরা যুক্তরাজ্যের ৭৫ শতাংশ অধিবাসীকে মুসলিম হিসেবে দেখে বলে প্রকাশিত খবর যুক্তরাজ্যের পত্রিকা দি মেইল অন সানডে প্রত্যাহার করেছে। তারা এ খবরের সংশোধনী ও ব্যাখ্যা প্রদান করেছে।  দি মেইল অন সানডে গত সপ্তাহে নি¤েœাক্ত শিরোনামে একটি নিবন্ধ প্রকাশ করে :
‘বিচ্ছিন্ন ব্রিটিশ মুসলিমরা সমাজের বাকি অংশ থেকে এতই বিচ্ছিন্ন যে তারা যুক্তরাজ্যকে ৭৫ শতাংশ ইসলামী হিসেবে দেখে।’ খবরে দাবি করা হয় যে, দেশের কিছু অংশে মুসলিমরা সমাজ থেকে এতটাই বিচ্ছিন্ন যে ‘বেশিরভাগ ব্রাইটনই তাদের ধর্মে বিশ্বাসী’ বলে তাদের ধারণা। তবে এ সপ্তাহের দি মেইল অন সানডে সংবাদপত্র এ খবর বিষয়ে একটি সংশোধনী প্রকাশ করেছে এবং ব্যাখ্যা দিয়েছে। তারা বলেছেÑ
‘গত রোববার একটি সংবাদে বলা হয়, জাতিগোষ্ঠীগত একীকরণ বিষয়ে কেসি রিভিউয়ে বলা হয়েছে যে, কিছু ব্রিটিশ মুসলিম এত বিচ্ছিন্ন যে, তারা বিশ্বাস করে  সে দেশের ৭৫ শতাংশ লোকই হচ্ছে মুসলমান। আসলে এ রিভিউতে এশীয় ছাত্র অধ্যুষিত একটি স্কুলে পরিচালিত জরিপের কথা উল্লেখ করা হয়েছে যারা মনে করে যে ব্রিটিশ জনসংখ্যার ৫০ থেকে ৯০ শতাংশই এশীয়।
সংবাদটির শিরোনাম যাতে বলা হয় যে, মুসলিমরা বাকি ব্রিটিশ সমাজের বড় অংশকেই মুসলমান হিসেবে দেখে, তা সঠিক নয়।
ডেম লুইস কেসির দি কেসি রিভিউ-এ একীকরণ ও সুযোগ বিষয়ে ঘনিষ্ঠভাবে দেখে এর সত্যতা মিলেছে।
দি মেইল অন সানডে নি¤েœাক্ত অনুচ্ছেদটি ব্যবহার করেছে বলে মনে হয় যাতে তার উপসংহারের ভিত্তি হিসেবে মোটেই মুসলমানদের উল্লেখ করা হয়নি।
আমরা নির্দিষ্টভাবে বিপুলসংখ্যক এশীয় সম্বলিত একটি অ-ধর্মীয় মাধ্যমিক স্কুলের ছাত্রদের উপর পরিচালিত জরিপের ফলাফলে বিস্মিত। শিক্ষার্থীদের ব্রিটেনে এশীয় জনসংখ্যার শতকরা হার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। তারা এ হার ৫০ থেকে ৯০ শতাংশ (আসলে তা ৭ শতাংশ) তাদের ধারণা বলে জানায় যা সম্ভবত তাদের স্থানীয় কম্যুনিটিভিত্তিক অভিজ্ঞতার ফল এবং গোটা দেশ সম্পর্কে তুলনামূলকভাবে জ্ঞানের অভাব।
সরকার অনুমোদিত এ রিপোর্ট অভিবাসীদের প্রতি ‘ওথ অব ইন্টিগ্রেশন’-এর শপথ গ্রহণের আহ্বানের পর ‘বর্ণবাদ ও বলির শিকার রাজনীতির সাথে যুক্ত করার জন্য স্ট্যান্ড আপ টু রেসিজমসহ প্রচার কর্মীদের সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে।  
রোববারের পত্রিকায় প্রকাশিত সংশোধনী সত্ত্বেও দি মেইল অনলাইন সংস্করণে এ নিবন্ধটির প্রকাশকালীন সময়ের মতো মূল মেইল অন সানডে অনলাইনে শিরোনাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
উল্লেখ্য, জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মারকেল ৬ ডিসেম্বর জার্মানিতে আইনত সম্ভব সকল স্থানে বোরকা পরার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের নির্দেশ দিয়েছেন। বোরকা নিষিদ্ধের ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণকারী তিনি হচ্ছেন সর্বশেষ বিশ^ নেতা। ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ব্যাপারে তার আগেকার পদক্ষেপগুলোর বাইরে এটি একটি ক্ষুদ্র পদক্ষেপ।
২০১৫ সালে কেমব্রিজ বিশ^বিদ্যালয় পরিচালিত এক গবেষণায় ব্রিটেনের মুসলিম জনসংখ্যার প্রতি ক্রমবর্ধমান বৈরী পরিবেশ নিয়ে আলোচনা করা হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন