সাম্প্রতিক সময়ে মিয়ানমার সীমান্তে গোলাগুলির ঘটনা তাদের আভ্যন্তরীণ এবং সাময়িক ঘটনা বিবেচনা করে শুরুতে তেমন গুরুত্ব না দিলেও, ধারাবাহিক এবং নিয়মিত যুদ্ধ পরিস্থিতি গোটা জাতিকে ভাবিয়ে তুলেছে। আমাদের আভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক মতপার্থক্য এবং সৌহার্দ্য ও বন্ধুত্বপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতিকে সুযোগ মনে করে, আন্তর্জাতিক কোন ষড়যন্ত্র স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশকে নিয়ে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে কিনা তা পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা বিভাগকে ভিন্ন-ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্ব সহকারে বিশ্লেষণ করা উচিত। বাংলাদেশ মুসলিম লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট বদরুদ্দোজা সুজা ও মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন। নেতৃদ্বয় আরো বলেন, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ এবং সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতিকে তারা দুর্বলতা ভাবতে পারে। মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে একাধিক বার প্রতিবাদ জানানো হলেও মিয়ানমারের এই অপতৎপরতা এখনো বন্ধ না হওয়ায় জনগণের উদ্বেগের মাত্রা প্রতিনিয়ত আরো বাড়ছে। মিয়ানমারের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রের নাগরিকের প্রাণ হারাতে হবে; জনপদের অধিবাসীদের চরম উৎকণ্ঠায় দিনাতিপাত করতে হবে এটা দিনের পর দিন মেনে নেয়া যায় না। নাগরিকদের মনে স্বস্তি ও নিরাপত্তা বোধ সৃষ্টি করতে একই সাথে মিয়ানমারকে কড়া বার্তা দিতে অবিলম্বে মিয়ানমার সীমান্তে সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত রাখা উচিত বলে বাংলাদেশ মুসলিম লীগ মনে করে।
খেলাফত মজলিস : এদিকে, সম্প্রতি মিয়ানমার সেনাবহিনীর বান্দরবান জেলার সীমান্তবর্তী অঞ্চলে মর্টার শেল নিক্ষেপ ও মাইন দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি নাগরিক ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতির
ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে খেলাফত মজলিস। এক যুক্ত বিবৃতিতে খেলাফত মজলিসের আমীর প্রিন্সিপাল মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীন ও সার্বভৌম ভূখ-ের উপর
মিয়ানমার সেনাবাহিনী বারবার উস্কানিমূলক হামলা চালিয়ে আসছে। মিয়ানমারের
সশস্ত্র বিদ্রোহী গ্রুপগুলো দমন করতে গিয়ে সরকারি বাহিনী উদ্দেশ্যমূলকভাবেই
বাংলাদেশের সীমান্তে গোলাবর্ষণ করছে। বাংলাদেশি সীমান্তবর্তী অঞ্চলের মানুষের
জীবন ও সম্পদ হুমকির সম্মুখীন করেছে। সম্প্রতি একজন রোহিঙ্গা নাগরিকের মৃত্যুর ঘটনার সংবাদ পাওয়া গেছে।
মিয়ানমারের দ্বারা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব বারবার লঙ্ঘিত হলেও বাংলাদেশ সরকারের
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন