ব্রিটিশ শাসিত ভারতবর্ষের শোষিত বঞ্চিত ও পশ্চাৎপদ বিচ্ছিন্ন মুসলিম জনগোষ্ঠীকে মুসলিম জাতিসত্তার চেতনায় ঐক্যবদ্ধ করার দূরদর্শী পরিকল্পনা নিয়ে ঢাকার নবাব খাজা সলিমুল্লাহ বাহাদুর ১৯০৬ সালের শাহবাগে অনুষ্ঠিত অল ইন্ডিয়া মুসলিম এডুকেশন কনফারেন্সের ২০তম অধিবেশন শেষে ৩০ ডিসেম্বর অল ইন্ডিয়া মুসলিম লীগ গঠনের প্রস্তাব করলে তা অনুমোদিত হয়।
মুসলিম লীগ গঠিত হবার পর ব্রিটিশ ভারতের বিভিন্ন ভাষার মুসলিমরা অধিকার আদায়ের জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়। সেদিন থেকে ব্রিটিশ ভারতের মুসলিমরা রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য মুসলিম লীগের পতাকা তলে সমবেত হয় যার ফলে ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্ত করে একটি মুসলিম রাষ্ট্র গঠিত হয়। ১৯০৬ সালে এই ঢাকাতেই মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই মুসলিম জাতিসত্তা রাজনীতির জন্ম আর নবাব সলিমুল্লাহই মুসলিম জাতিসত্তার জনক।
নিখিল ভারত মুসলিম লীগের ১১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বাংলাদেশ মুসলিম লীগ পল্টন¯’ ফেনী সমিতি মিলনায়তনে আজ (৩০ ডিসেম্বর, ২০২১) বিকাল ৩.০০টায় এ্যাড. বদরুদ্দোজা সুজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত মন্তব্য করেন। মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ও ফলাফল বিষয়ে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন জমিয়ত উলামায়ে ইসলামের সহ সভাপতি আব্দুর রব ইউসুফী, গণ অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নূর, ডেমোক্রেটিক লীগের মহাসচিব সাইফুদ্দিন মনি, জাতীয় পার্টি জেপির কো চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন মতিন প্রকাশ, মুসলিম লীগের নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আজিজ হাওলাদার, মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, ¯’ায়ী কমিটির সদস্য আতিকুল ইসলাম ও আনোয়ার হোসেন আবুড়ী, কেন্দ্রীয় নেতা নজরুল ইসলাম, অতি: মহাসচিব আকবর হোসেন পাঠান ও কাজী এ.এ কাফী, সাংগঠনিক সম্পাদক খান আসাদ প্রমুখ।
সম্মানিত আমন্ত্রিত মেহমান গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নূর বলেন, মুসলিম লীগের রয়েছে গৌরবজ¦ল রাজনৈতিক ইতিহাস আর দীর্ঘ দিনের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা। নবীন ও প্রবীণের সমন্বয়ে গণআন্দোলনের মাধ্যমে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। মুসলিম লীগ মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের বলেন, মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠার ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট পর্যালোচনাই শেকড়ের সন্ধান দিয়ে জাতিকে আলোর দিশা দিতে পারে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন