ইব্রাহিম খলিল ছিলেন উনসত্তরের ১১দফা ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম রূপকার। ছাত্র জীবনে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মহসীন হলের ছাত্র সংসদের প্রথম জিএস ও জাতীয় ছাত্র ফেডারেশনের সম্পাদক ছিলেন। ইব্রাহীম খলিল ১৯৭৮ সালে যুব মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন এবং ১৯৭৯ সালের দ্বিতীয় সংসদ নির্বাচনে শরীয়তপুর থেকে বিপুল ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। খান-এ-সবুর তাকে সংসদে মুসলিম লীগ সংসদীয় দলের হুইপের গুরুদায়িত্ব অর্পণ করেন। তিনি ১৯৮১ সালে মাত্র ৩৮বছর বয়সে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে লন্ডনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। আকস্মিক ভাবে মৃত্যুবরণ না করলে তিনি জাতীয় রাজনীতিতে আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে যেতে পারতেন।
আজ (১৬ জুলাই, ২০২২) বেলা ১১.০০টায় উনসত্তরের ১১ দফা ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম শীর্ষ নেতা, বাংলাদেশ যুব মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, সাবেক এমপি ইব্রাহিম খলিলের ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকীতে বাংলাদেশ মুসলিম লীগের উদ্যোগে, দলের নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আজিজ হাওলাদারের সভাপতিত্বে, পল্টনস্থ দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে নেতৃবৃন্দ উপরোক্ত মন্তব্য করেন। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন দলীয় মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, স্থায়ী কমিটির সদস্য আতিকুল ইসলাম ও আনোয়ার হোসেন আবুড়ী, ফেডারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির আহ্বায়ক ড. এ. আর খান, ইসলামী সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি ইঞ্জি. হাফিজুর রহমান, দেশপ্রেমিক নাগরিক পার্টির চেয়ারম্যান আহছানউল্ল্যাহ শামীম, গণ আজাদী লীগের মহাসচিব মুহাম্মদ আতা উল্লাহ খান, ইব্রাহীম খলিলের সহধর্মিণী বেগম শামসুন্নাহার খলিল শেলী, মরহুমের ভ্রাতা ফুয়াদ আহমেদ বালা, দলীয় সহ-সভাপতি এ্যাড. জসীমউদ্দিন ও সৈয়দ আব্দুল হান্নান নূর, অতি: মহাসচিব আকবর হোসেন পাঠান ও কাজী এ.এ কাফী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া, প্রচার সম্পাদক শেখ এ সবুর, কেন্দ্রীয় নেতা এ্যাড আফতাব হোসেন মোল্লা, এ্যাড আবু সাঈদ মোল্লা, এ্যাড হাবিবুর রহমান প্রমুখ । সভা শেষে মরহুম ইব্রাহিম খলিলের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন