শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

মাঠে নামছে হেফাজত

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৩১ অক্টোবর, ২০২২, ৬:৪৫ পিএম

এবার মাঠে নামছে হেফাজতে ইসলাম। আগামী ১৭ ডিসেম্বর রাজধানী ঢাকায় জাতীয় উলামা মাশায়েখ সম্মেলনের ডাক দেয়া হয়েছে। সোমবার চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদরাসায় অনুষ্ঠিত হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির এক সভায় এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। সভায় কারাবন্দি আলেম-ওলামা ও হেফাজত নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করা হয়। এ দাবিতে এবং বিগত ২০১৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত হেফাজত নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে তার বরাবরে চিঠি দেয়ারও সিদ্ধান্ত হয়েছে। সভায় হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগরীর কমিটির আকার বাড়ানো হয়। গঠন করা হয়েছে চট্টগ্রাম মহানগরীর আহ্বায়ক কমিটি। এছাড়া সারাদেশে জেলা পর্যায়ে কমিটি গঠনের মাধ্যমে হেফাজতে ইসলামকে সুসংগঠিত করতে মহাসচিবের নেতৃত্বে আরো একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
সকাল ১০টায় দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসায় সংগঠনের আমির আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীর সভাপতিত্বে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সাংগঠনিক বিষয় ছাড়াও দেশের সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং সেইসাথে হেফাজতে ইসলামের করণীয় নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয় বলে সভা সূত্রে জানা গেছে। এসব বিষয়ে দেশবাসীকে অবহিত করতে সকাল ১০টায় হেফাজতের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলনের ঘোষণা দেয়া হয়। তবে কয়েক ঘণ্টা পর রহস্যজনক কারণে সেই সংবাদ সম্মেলন বাতিল করা হয়। বেলা ২টায় হাটহাজারীতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। রাতে বৈঠকের বিষয়ে প্রচার সম্পাদক মুফতি কেফায়েতুল্লাহ আজহারী স্বাক্ষরিত একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সভার কিছু সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র নায়েবে আমির আল্লামা মুহাম্মদ ইয়াহইয়া, মাওলানা সালাউদ্দিন নানুপুরী, মাওলানা আব্দুল আউয়াল, মুফতি জসিম উদ্দিন, মাওলানা ফুরকানুল্লাহ খলিল, মহাসচিব আল্লামা শায়েখ সাজিদুর রহমান, মাওলানা মাহমুদুল হাসান ফতেহপুরী, মাওলানা জহুরুল ইসলাম, মাওলানা মুহিউদ্দিন রব্বানী, মাওলানা মীর ইদরীস, মুফতি মোহাম্মদ আলী, মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম সুবাহানী, মুফতি কিফায়েতুল্লাহ আজহারী, সাইয়েদ মাহফুজ খন্দকার, মাওলানা রাশেদ বিন নূর।
বৈঠকে কেন্দ্রীয় কমিটি ও ঢাকা মহনগর কমিটি সম্প্রসারণ এবং পুনঃবিন্যাস করা হয়। কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক মাওলানা মুহিউদ্দীন রাব্বানী ও কেন্দ্রীয় দাওয়া সম্পাদক মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম সোবহানীকে যুগ্মসচিব করা হয়। এছাড়াও মুফতী কিফায়েতুল্লাহ আযহারীকে প্রচার সম্পাদক ও মাওলানা রাশেদ বিন নূরকে দফতর সম্পাদক করা হয়। অন্যদিকে মাওলানা তাজুল ইসলামকে আহবায়ক এবং মাওলানা লোকমান হাকিমকে সদস্য সচিব করে ১৭ সদস্য বিশিষ্ট চট্টগ্রাম মহানগর আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়।
বৈঠকে ব্যক্তি উদ্যোগে জাতীয় পর্যায়ের যেকোন কাজে হেফাজতের পদ পদবী ব্যবহার না করার জন্য আমিরে হেফাজত সকল দায়িত্বশীলদের সতর্ক করেন। সারাদেশে জেলা কমিটি গঠন করার জন্য মহাসচিব আল্লামা সাজিদুর রহমানকে প্রধান করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট সাব কমিটি গঠন করা হয়। এতে আরো আছেন মাওলানা মুহিউদ্দীন রাব্বানী, মাওলানা মীর ইদরীস, মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম সোবহানী ও মুফতী কিফায়েতুল্লাহ আজহারী।
কেন্দ্রীয় কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন যারা- মুফতী আরশাদ রহমানী, মাওলানা আবদুল বাসির (সুনামগঞ্জ), মাওলানা শাহাদত হোসেন রাঙ্গুনিয়া, মাওলানা খোবাইব, মাওলানা আশরাফ আলী নিজামপুরী, মাওলানা আবদুল কাদের (আমলাপারা), মাওলানা ইউনুস (রংপুর), মাওলানা শওকত হোসেন সরকার (নরসিংদী), মাওলানা সাঈদ নূর (মানিকগঞ্জ), মাওলানা আকরাম আলী (ফরিদপুর), মাওলানা হেলাল উদ্দিন (ফরিদপুর), ড. নুরুল আবসার আজহারী, মাওলানা তৈয়ব হালীম, মুফতী মাসুদুল করীম, মাওলানা নূরুর রহমান বেগ (বরিশাল), মাওলানা নিজামদ্দীন (নোয়াখালী), মাওলানা আবদুল মা’বুদ (বাগেরহাট), মাওলানা মুসলিম (কক্সবাজার), মাওলানা বোরহান উদ্দীন কাসেমী (বি-বাড়িয়া), মাওলানা আনওয়ার চকরীয়া, মাওলানা কেফায়েতউল্লাহ (টেকনাফ), মাওলানা ইয়াহহিয়া (নাজিরহাট), মাওলানা শাসমুল ইসলাম জিলানী, মাওলানা আব্দুল্লাহ (পোরশা), মাওলানা শরিফ (ঠাকুরগাঁও), মাওলানা তাফহিমুল হক (হবিগঞ্জ), মাওলানা জুনাইদ বিন ইয়াহিয়া, মাওলানা রাশেদ বিন নূর।
ঢাকা মহানগর কমিটিতে যাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে- মাওলানা মুহাম্মদ ফারুক (মুহতামীম, লালমাটিয়া মাদরাসা), মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, মাওলানা লোকমান মাযহারী, মাওলানা আব্দুল্লাহ (সাভার), মাওলানা ইউসুফ সাদিক হক্কানী, মাওলানা আব্দুল্লাহ ইয়াহিয়া, মাওলানা ইলিয়াস হামিদী, মাওলানা ওয়াহিদুর রহমান (পীরজঙ্গি মাদরাসা), মাওলানা যুবায়ের আহমদ (ওয়াহেদীয়া মাদরাসা, মোহাম্মদপুর), মাওলানা জসীমউদ্দীন (খতীব, চকবাজার ছোট মসজিদ), মুফতী জুবায়ের রশিদ (খতীব, দুদক জামে মসজিদ)।
চট্টগ্রাম মহানগর আহবায়ক কমিটি- আহবায়ক মাওলানা তাজুল ইসলাম, সদস্য সচিব মাওলানা লোকমান হাকিম, মাওলানা ফোরকানুউল্লাহ খলীল, মাওলানা আলী ওসমান, মাওলানা হারুন, মাওলানা মুনীর উদ্দিন, মাওলানা ইয়াসিন, মাওলানা হাসান মুরাদাবাদী, মুফতি শিহাব উদ্দিন, মাওলানা আনোয়ার রব্বানী, মাওলানা এনায়েতুল্লাহ, মাওলানা সায়েমুল্লাহ, মাওলানা ফয়সাল বিন তাজুল ইসলাম, মাওলানা জাকারিয়া মাদানী, মাওলানা জয়নাল কুতুবী, মাওলানা শহিদুল ইসলাম, মাওলানা মানজুরুল কাদের। ##

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (5)
সাইফুল ইসলাম ১ নভেম্বর, ২০২২, ৭:০৬ এএম says : 0
স্থগিতের কারণ কি?
Total Reply(0)
মোঃ মোবারক হোসাইন ১ নভেম্বর, ২০২২, ২:০৬ পিএম says : 0
মাশাআল্লাহ খুব সুন্দর একটা উদ্যুগ
Total Reply(0)
আব্দুল্লাহ মুজাহিদ ৩১ অক্টোবর, ২০২২, ৮:১০ পিএম says : 0
চরমোনাই কে বাদ দিয়ে বাংলাদেশে একতরফা হেফাজত কিরে কিছু করা যাবে না
Total Reply(0)
Shahin ১ নভেম্বর, ২০২২, ১১:২০ এএম says : 0
হেফাজতের লোকজন আলেম নামক কলংক। রাসুল সাঃ এর শিক্ষা বাদ দিয়ে তাগুতের লেজুড়বৃত্তিতে ব্যস্ত উনারা।এরা শয়তানের খেলাফত টিকিয়ে রাখায় ব্যস্ত।
Total Reply(0)
hassan ৩ নভেম্বর, ২০২২, ১১:৫০ এএম says : 0
আলেম-ওলামা হচ্ছে নবী রাসুলের উত্তরসূরি তাদের দায়িত্ব হচ্ছে আল্লাহর আইনের দেশ শাসন করা হেফাজতে ইসলামকে হাসিনা সরকার বর্বরভাবে গণহত্যা চালিয়েছে অথচ হেফাজত ইসলাম হাসিনা সরকারের সাথে হাত মিলিয়ে ছিল আপনারা শহীদদের সাথে গাদ্দারী করেছেন এখনো সময় আছে এই সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠা করা আপনাদের দায়িত্ব বাংলাদেশের জনগণকে আপনারা বোঝান যে গণতন্ত্র হচ্ছে কাফের তন্ত্র কাফের তন্ত্র দিয়ে কখনো দেশ চালানো হয় না কাফের তন্ত্র হচ্ছে মানুষ হত্যা করার তন্ত্র মানুষ লুটপাট মানুষ গুম করার তন্ত্র মিথ্যা কেস দেওয়া তন্ত্র জনগণের সম্পত্তি লুটপাট করে বিদেশে পাঠানোর তন্ত্র চাঁদাবাজির তন্ত্র মন্ত্র তন্ত্র ঘুষ খাওয়ার তন্ত্র ধর্ষণ করার তন্ত্র দেশকে ইন্ডিয়ার কাছে বিক্রি করার তন্ত্র
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন