দীর্ঘদিনের মিত্র পাকিস্তানকে অর্থনৈতিক সহায়তা প্রদান অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছে চীন। বুধবার বেইজিংয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সঙ্গে এক বৈঠকে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এমন প্রতিশ্রুতির কথা ব্যক্ত করেন।-রয়টার্স
চলতি বছরের শুরু থেকেই বিদেশি মুদ্রার মজুত কমে যাওয়ায় নড়বড়ে অবস্থায় ছিল পাকিস্তানের অর্থনীতি। উপরন্তু গত বর্ষায় ব্যাপক বর্ষণ ও তার প্রভাবে দেশটির উত্তর দিকের পার্বত্য অঞ্চলের হিমবাহ গলে ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়ে দেশটি। ইতিহাসে এত বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগ এর আগে দেখেনি পাকিস্তান। গত জুন মাসে শুরু হওয়া এই মহাদুর্যোগে দেশটির এক তৃতীয়াংশের বেশি এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়, নিহত হন প্রায় ২ হাজার মানুষ।
এছাড়াও বন্যায় লাখ লাখ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে, মারা গেছে হাজার হাজার গবাদিপশু, বাঁধ ও অন্যান্য সরকারি স্থাপনারও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সরকারি হিসেবেই বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে ৩ হাজার কোটি ডলার। দীর্ঘদিনের সামরিক শাসন, প্রশাসনিক অব্যবস্থাপনা ও অনিয়মের কারণে ২০১৭ সাল থেকেই পাকিস্তানের অর্থনীতিতে দুরাবস্থা চলছিল। সংকট কাটিয়ে উঠতে ওই সময় থেকেই চীনের কাছ থেকে ঋণ নেওয়া শুরু করে দেশটির সরকার। তার আগেও অবশ্য বিভিন্ন সময়ে চীনের কাছ থেকে আর্থিক ঋণ নিয়েছে পাকিস্তান।
এসব বকেয়া ঋণ বাবদ পাকিস্তানের কাছ থেকে চীনের পাওনা প্রায় ২ হাজার ৩০০ কোটি ডলার। মূলত বকেয়া ঋণ পরিশোধের সময়সীমা বাড়ানো এবং আর্থিক সহায়তা নিয়ে আলোচনা করতেই গত ১ নভেম্বর বেইজিং সফরে গিয়েছেন শেহবাজ শরিফ। গত এপ্রিল মাসে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এটিই তার প্রথম চীন সফর।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন