বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

গোপালগঞ্জের চাঞ্চল্যকর রুবেল হত্যার রহস্য উদঘাটন, মূল হোতাসহ গ্রেপ্তার ২

খুলনা ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৩ নভেম্বর, ২০২২, ৫:২৩ পিএম

গোপালগঞ্জের ক্লুলেস ও লোমহর্ষক রুবেল হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে র‌্যাব-৬। এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে তারা দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে। বুধবার তাদের ঢাকার গাজীপুর জেলা থেকে আটক করে র‌্যাব। আটক হওয়া ব্যক্তিরা হলেন, তেরখাদা উপজেলার হুসাইন ইমাম ও গোপালগঞ্জের এস এম ফেরদাউস।
আজ বৃহষ্পতিবার র‌্যাব-৬ খুলনা ব্যাটেলিয়ন কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, জড়িতরা একটি ঠান্ডা মাথার অপরাধী চক্র। তারা দেশের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে ফিরে আসার সময় গাড়ী ভাড়া করে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী গাড়ীর চালককে মারধরসহ হত্যা করে গাড়ী ছিনিয়ে নেয়। এরপর গাড়িটি বিক্রি করে গা ঢাকা দেয়। এমনই একটি ক্লুলেস ও লোমহর্ষক হত্যাকান্ড সংঘটিত হয় গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে। গ্রেপ্তার হওয়া আসামীরা ঘটনার কয়েকদিন আগে গাজীপুরে একত্রিত হয়। একটি হোটেলে থেকে চূড়ান্ত পরিকল্পনা করে। ১৫ অক্টোবর তারা একত্রিত হয়ে পটুয়াখালী জেলার কুয়াকাটার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। পথিমধ্যে চেতনানাশক ঔষধসহ একটি সিরিঞ্জ ক্রয় করে। তারা কুয়াকাটায় ভ্রমন শেষে ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে নতুন ও দামী গাড়ীর সন্ধান করতে শুরু করে। তারা একটি নতুন মডেলের প্রাইভেট কার ভাড়া করে। ১৬ অক্টোবর রাত ৯ টার দিকে কুয়াকাটা হতে গোপালগঞ্জ জেলার ভাটিয়াপাড়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। চালকের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ আলোচনা করে গাড়ীর মালিক ও গাড়ীতে ব্যবহৃত ট্রাকিং ডিভাইসটির তথ্য সংগ্রহ করে। গাড়ীটি গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী পৌঁছালে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী তারা চালকের সংঙ্গে কথা কাটাকাটিতে লিপ্ত হয়। একপর্যায়ে গাড়ীটি থামিয়ে কৌশলে চালকের দেহে চেতনানাশক ঔষধ প্রয়োগ করে। চালক দুর্বল হয়ে পড়লে তাকে মারধর করে হাত-পা স্কসটেপ দিয়ে বেঁধে ফেলে এবং মুখমন্ডলে স্কসটেপ পেঁচিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরবর্তীতে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের একটি নির্জন এলাকায় চালকের লাশটি ফেলে দিয়ে তারা গাড়ীটি নিয়ে গাজীপুরের উদ্দেশ্যে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় মুকসুদপুর থানায় অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা রুজু হয়। ঘটনা পর থেকেই র‌্যাবের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও ছায়াতদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় ২ নভেম্বর রাতে গাজীপুর হতে এ ঘটনার মূলহোতা হুসাইন ইমাম ও এসএম ফেরদাউস গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা গাড়ির চালক রুবেল হত্যাকান্ডের সাথে নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে র‌্যাবের কাছে হত্যাকান্ডের বর্ণনা দিয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন