নাটোরের বাগাতিপাড়ায় শনিবার বিকেলে বড়াল নদীতে গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে যাওয়া নিখোঁজ মুনসুর রহমান মিন্টু (৬৫) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। রবিবার সকালে দয়ারামপুরের নন্দীকুজা এলাকায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা নদীর ৪৫ ফুট গভীরে মরা গাছের ডালে আটকে থাকা এই মরদেহ উদ্ধার করে। মিন্টু লালপুরে উপজেলার মৃত নুর মোহাম্মদের ছেলে ,বর্তমান নন্দীকুজা মোল্লাপাড়া গ্রামের নজির আলির (ঘর) জামাতা হিসেবে বসবাস করত।
মিন্টু বড় ছেলে সাহেব আলী জানান,তার বাবা নদের ধারে অবস্থিত একজনের পেয়ারা বাগানে ২০-২২ দিন যাবৎ কাজ করত এবং সেখানে থাকে। দুপুরে গোসলের জন্য নদীতে নামলে আর উঠে আসেনি। গোসলের পর ব্যবহারের জন্য লুঙ্গি ও লাঠি,সেন্ডেল (জুতা) নদীর ঘাটে পড়ে থাকতে দেখা। পরে স্থানীয়রা নদীতে নেমে খুঁজে না পেয়ে, ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে ডুবুরীরা এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে।
বাগাতিপাড়ার দয়ারামপুর ফায়ার স্টেশন ইন্সপেক্টর মঞ্জুরুল আলম বলেন, অসুস্থ ও বয়স্ক হওয়ায় ধারনা করা হচ্ছে বৃদ্ধ মন্টু মিয়া গোসল করতে গিয়ে নদীর পানিতে তলিয়ে মৃত্যু হয়েছে ,বলে তাদের প্রাথমিক ধারণার কথা জানান।
বাগাতিপাড়ার দয়ারামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহাবুর রহমান মিঠু বলেন, মুনসুর রহমান মিন্টু তাঁর ইউনিয়নের একজন বাসিন্দা ছিলেন। পানিতে ডুবে তার মৃত্যু হয়েছে । পরিবারের সদস্যসহ স্থানীয়দের দাবি অনুযায়ী দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন