সিলেটে বিএনপির গণসমাবেশ উপলক্ষে চলছে প্রচারণা, গণসংযোগ। সিলেটের ঐতিহাসিক আলিয়া মাদরাসা মাঠে চলছে মঞ্চ তৈরির কাজ। মামলা থেকে বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধগতির প্রতিবাদে দেশের সব বিভাগে গণসমাবেশ করছে বিএনপি। ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা, রংপুর, বরিশাল ও ফরিদপুরে সমাবেশ সম্পন্ন হয়েছে। কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় সিলেটে আগামী ১৯ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে এ গণসমাবেশ।
এদিকে দেখা গেছে, ‘অদৃশ্য নির্দেশনায়’ সব বিভাগেই বিএনপির সমাবেশের আগের দিন থেকে শুরু হয় পরিবহন ধর্মঘট। এতে সমাবেশে আসা নেতাকর্মীদের পাশপাশি দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ মানুষও। সমাবেশের আগে ডাকা পরিবহন ধর্মঘট নিয়ে সমালোচনা সত্ত্বেও সব বিভাগেই ঘটছে এমন ঘটনা। এরই ধারাবাহিকতায় সিলেটেও এমন ধর্মঘটের আশঙ্কা করা হচ্ছে। গতকাল মাঠ পরিদর্শনের এসে বিএনপির নেতৃবৃন্দ বলেন, কোনো বাধা সমাবেশ ঠেকাতে পারবে না। সমাবেশ বানচাল করতে অজ্ঞাতনামা করে সিলেটের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। তারা মনে করছে মামলা দিয়ে সিলেটের সমাবেশ বাধাগ্রস্থ করবে। কিন্তু সিলেটের মানুষ সকল বাধাবিপত্তি অতিক্রম করে গণসমাবেশে যোগদান করবে।
মাঠ পরিদর্শন কালে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্ট খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক, সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম, সিলেট মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল কাইয়ুম জালালি পংকি, সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইমরান আহমদ, সাবেক মহানগর বিএনপির সভাপতি নাছিম হোসাইন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম, সিলেট মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মিফতাহ সিদ্দিকী, যুগ্ম আহ্বায়ক সালেহ আহমদ খসরু, অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান হাবিব, বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান চৌধুরীসহ নেতৃবৃন্দ।
এদিকে একটি সূত্রে জানিয়েছে, গতকাল দুপুরে ঢাকায় সিলেটের পরিবহন শ্রমিক সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি ও আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য শাহজাহান খানের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ বৈঠকে নিজেদের বিভিন্ন এজেন্ডা নিয়ে আলোচনা হলেও বিএনপির গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে সিলেট এমন ধর্মঘট পালনের কোনো কথা হয়নি।
এ বিষয়ে সিলেট জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. মইনুল ইসলাম বলেন, আমাদের বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে সিলেটে গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখা বা ধর্মঘট পালনের কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। সিলেটে এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটবে না। বিএনপির গণসমাবেশের সময়ও গাড়ি স্বাভাবিকভাবে চলাচল করবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন