শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

গণসমাবেশ বানচালে সরকার পুলিশ লেলিয়ে দিচ্ছে

কেন্দ্রীয় কার্যালয় সমাবেশে মির্জা ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৯ নভেম্বর, ২০২২, ১২:০১ এএম

বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ বানচাল করতে সরকার পুলিশ লেলিয়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আপনারা (সরকার) সমাবেশকে বানচাল করার জন্য পুলিশকে লেলিয়ে দিয়েছেন বিভিন্ন জায়গায় মারামারি করার জন্য। সিরাজগঞ্জে গুলি করেছে, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু সাহেবের স্ত্রীকে পর্যন্ত গুলি করেছে, সিলেটে গুলি করেছে, গোলমান করেছে, হবিগঞ্জে গুলি করেছে। কেনো? সমাবেশকে আপনারা এতো ভয় পান কেনো? আজকে জনগণ জেগে উঠছে, জনগণ জেগে আছে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের উদ্যোগে আয়োজিত কৃষক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। এতে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে কৃষক দলের নেতা-কর্মীরা এই সমাবেশে যোগ দেয়। সমাবেশে শুরুতে মজলুম জননেতা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকীর এই দিনে তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা খুব পরিস্কার করে বলেছি, এখনই পদত্যাগ করুন, সংসদ বিলুপ্ত করুন এবং নির্দলীয় কেয়ার টেকার সরকারের হাতে ক্ষমতা দিন। ক্ষমতা দিয়ে আপনি অবশ্যই একটা নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে তার মাধ্যমে নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন, জনগনের পার্লামেন্টের ব্যবস্থা করুন। অন্যথায় জনগণের উত্তাল তরঙ্গে আপনাদেরকে বিদায় নিতে হবে। তাই আবারো বলছি, এখনো সময় আছে সেইভ এক্সিট নিন, সরে যান মানে মানে।
মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের দুরাবস্থার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, এদেশের কৃষকরা যারা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পরিশ্রম করে ফসল ফলায়। যাদের গায়ে পারফিউমের গন্ধ থাকে না, সেন্টের গন্ধ থাকে না, তাদের গায়ে থাকে মাটির গন্ধ, তাদের গায়ে থাকে সেই বৃষ্টিতে ভেজা কাঁদার গন্ধ। তারা দিনরাত্রি পরিশ্রম করে ফসল ফলিয়ে এদেশের মানুষকে বাঁচিয়ে রেখেছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আপনাদের (কৃষকদের) নির্বাচনের সময় বলেছিল বিনামূল্যে সার দেবে। বিনামূল্যের সার দিয়েছে? দেয়নি। এখন ইউরিয়া সার, পটাসের সারের দাম কত? অনেক বেড়ে গেছে। এখন ধান বিক্রি করে ধান উৎপাদনের খরচই আসে না। ন্যায্যমূল্য পায় না। এখন অনেক প্রান্তিক কৃষক ক্ষেত ছেড়ে, মাঠ ছেড়ে ঠেলা গাড়ি-ভ্যান চালায়। এই সরকার অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে কৃষকের কোমড়, কৃষকের মেরুদন্ড ভেঙে দিয়েছে।
এই অবস্থা থেকে উত্তরণে বর্তমান সরকারকে সরানো ছাড়া কোনো বিকল্প নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা কি ২০১৮ সালের আগের রাত্রে নির্বাচনে যাবো? শেয়ালের কাছে মুরগী দেবো? না। তাহলে শেখ হাসিনাকে সরাতে হবে। শেখ হাসিনাকে সরাতে হলে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। সেই নির্বাচনে আগে শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে।
কৃষক দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমি কৃষক ভাইদের বলব, আজকে এখান থেকে গিয়ে গ্রামে গ্রামে ছড়িয়ে পড়ুন, সমস্ত কৃষকদের জাগিয়ে তুলুন। এই দেশকে যদি রক্ষা করতে হয়, এই জাতিকে যদি রক্ষা করতে হয়, আপনার অধিকারকে যদি রক্ষা করতে হয় তাহলে আজকে সমস্ত দেশবাসীকে নিয়ে, কৃষকদের নিয়ে আপনাদেরকে জেগে উঠতে, পরাজিত করতে এই ভয়াবহ দানবীয় শক্তিকে। মুক্ত করতে হবে দেশনেত্রীকে, ফিরিয়ে আনতে হবে তারেক রহমানকে। এই জনগণকে সংগঠিত করুন।
কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলের সঞ্চালনায় কৃষক সমাবেশে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, কেন্দ্রীয় নেতা খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মিলন, আমিনুল হক, তাবিথ আউয়াল, ইশরাক হোসেনসহ কৃষক দলের কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন