পিরোজপুরের নাজিরপুরে আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম গ্রুপ ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম এ আউয়াল গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উভয় গ্রুপের ১৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
গতকাল শনিবার সন্ধ্যার দিকে স্থানীয় সরকারি মহিলা কলেজ মাঠে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় নাজিরপুর বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে থাকা কয়েকটি মাইক্রো বাস ভাঙচুরসহ প্রতিপক্ষের ব্যানার ফেস্টুন ভাঙচুর করা হয়। হামলায় মন্ত্রী গ্রুপের উপজেলার মাটিভাঙ্গা ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. রশিদ শেখ, জুয়েল শেখ, মেজবাহ হাওলাদার, সোহাগ মৃধা, আখতারুজ্জামান শিকদার, সুবোধ মিস্ত্রী, এনামুল শেখ টুকু, জাকারিয়া বেপারী ও উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মো. তরিকুল ইসলাম তাপস, নাজিরপুর বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রশান্ত কুমার হালদার এবং আউয়াল গ্রুপের শাওন, নিক্সন, জাকির হোসেনসহ ১৫ জন আহত হন। গুলিতে আহত রশিদ শেখকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডাক্তার কৌশিক সাহা জানান, আহত ৯ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। রশিদ মাথার ডানপাশে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন। তবে তা গুলি কিনা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
হামলায় আহত প্রত্যক্ষদর্শী উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক তরিকুল ইসলাম চৌধুরী তাপস জানান, সন্ধ্যার কিছু আগে কেন্দ্রীয় নেতারা কমিটি গঠনের জন্য বঙ্গমাতা কলেজের দোতলার একটি কক্ষে বসে সিদ্ধান্ত নিচ্ছিলেন। আমরা ওই ভবনের নিচে দাঁড়িয়ে স্লোগান দিচ্ছিলাম। এ সময় পিরোজপুর থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিসহ অন্যদের সঙ্গে আসা ক্যাডার বাহিনীর এক যুবক গুলি ছোড়েন। ওই গুলিতে যুবলীগ নেতা রশিদ আহত হন।
নাজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির বলেন, আমি কাউকে গুলি করতে দেখিনি। তবে গুলি করা হয়েছে বলে কয়েকজন চিৎকার করে দৌঁড়ে পালিয়েছেন। পরে হামলা ও সংঘর্ষে কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে শুনেছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন