উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন একটি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) পরীক্ষা চালানোর কয়েক ঘন্টা পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হুমকি মোকাবেলায় পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এটি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ পিয়ংইয়ংয়ের কর্মকাণ্ডের বিষয়ে একটি জরুরি অধিবেশন আহ্বান করার প্রস্তুতির সর্বশেষ বৃদ্ধি। জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্দেশে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ উত্তর কোরিয়ার সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ নিয়ে আলোচনা করতে সোমবার একত্রিত হবে। শুক্রবার ওয়াশিংটনকে ‘কঠোর সামরিক প্রতিক্রিয়ার’ সতর্ক করার পরই উত্তর কোরিয়া যে ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায় সেটি ১৫ হাজার (৯,৩২০ মাইল) পর্যন্ত যেতে পারে। পিয়ংইয়ংয়ের সরকারী কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) শনিবার জানিয়েছে, ‘কিম জং উন দৃঢ়ভাবে ঘোষণা করেছেন যে, শত্রুরা যদি হুমকি দিতে থাকে ... আমাদের দল এবং সরকার পারমাণবিক অস্ত্র সহ পরমাণু অস্ত্রের প্রতি দৃঢ়ভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে এবং সর্বাত্মক সংঘর্ষের সাথে সম্পূর্ণ মোকাবিলা করবে।’ কেসিএনএ বলেছে যে, শুক্রবার উৎক্ষেপণ করা ক্ষেপণাস্ত্রের লক্ষ্য ছিল ‘সবচেয়ে শক্তিশালী এবং পরমাণু প্রতিরোধ ক্ষমতা’ অর্জন করা এবং তারা ক্ষেপণাস্ত্রটিকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী কৌশলগত অস্ত্র’ হিসেবে বর্ণনা করেছে।
শুক্রবারের উৎক্ষেপণের বিষয়ে মন্তব্য করে, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বলেছেন যে, তার দেশ ‘উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে একটি দৃঢ় প্রতিবাদ জানিয়েছে, যারা অভূতপূর্বভাকে তাদের উস্কানিকে পুনরাবৃত্তি করেছে’। থাইল্যান্ডে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অর্থনৈতিক সহযোগিতা শীর্ষ বৈঠকে কিশিদা বলেন, ‘আমরা (পিয়ংইয়ংকে) বলেছি যে আমরা এই ধরনের কর্মকাণ্ড একেবারেই সহ্য করতে পারি না।’
কেসিএনএ জানিয়েছে যে, ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রায় ৬৯ মিনিটের জন্য প্রায় ১ হাজার (৬২১ মাইল) উড়েছিল এবং ৬,০৪১ কিলোমিটার (৩,৭৫৪ মাইল) সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছেছিল। কিম পরীক্ষা উৎক্ষেপণের সফলতাকে স্বাগত জানিয়েছেন, এটিকে উত্তর কোরিয়ার ‘যেকোনো পারমাণবিক হুমকি ধারণ করার সর্বোচ্চ ক্ষমতা’ এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন ও মিত্রদের প্রতি একটি সতর্কবাণী হিসাবে ঘোষণা করেছেন। সূত্র : আল-জাজিরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন