শেরপুরে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনায় ৬৬ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ২শ নেতাকর্মীকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুর রহমান বাদী হয়ে মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) রাতে এ মামলাটি দায়ের করেছেন। মামলায় পুলিশ অ্যাসল্টের অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলার আসামিরা সবাই বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী। এদের মধ্যে ১৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ১. তানভীর কবির খান রিয়াদ,২. মোঃ বিপুল মিয়া,৩. মোঃ মোক্তার আলী, ৪. সুমন মিয়া, ৫. মোঃ মোসলেম উদ্দিন, ৬. মোঃ খোকন মিয়া, ৭. মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, ৮. মোঃ মন্টু মিয়া, ৯. মোঃ খালেকুজ্জামান আসিফ, ১০. মোঃ আলম মিয়া, ১১. মোঃ রফিকুল ইসলাম, ১২. মোঃ আব্দুল মালেক, ১৩. মোঃ খোরশেদ আলম, ১৪. মোঃ সোলাইমান ১৫. মোঃ দুলাল হোসেন।
শেরপুর সদর থানার ওসি বছির আহমেদ বাদল মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মঙ্গলবার বিকেলের ঘটনায় পুলিশ অ্যাসল্টের অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। ওই মামলায় ৬৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতানামা আরও দেড় থেকে দুইশ জনকে আসামি করা হয়েছে। ঘটনার ভিডিওচিত্র দেখে এ মামলায় ইতোমধ্যে ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যান্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। গ্রেপ্তারকৃতদের ২৩ নবেম্বর বুধবার বিকেলে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
উল্লেখ্য ২২ নবেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে শহরের রঘুনাথ বাজার এলাকায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ছয় পুলিশসহ অন্তত ২১ জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১০১ রাউন্ড শর্টগানের গুলি এবং ২২ রাউন্ড টিয়ারশেল ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন