জেলা পরিষদ নির্বাচনে ফলাফল ঘোষণার পর দুই সাধারন সদস্যের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১৬জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ৫জনকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে জেলা শহর মাইজদীর হরিনারয়ণপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে, মাঈন উদ্দিন সাজু (৩৮), তাজুল হক (৩০), স্বপন (৫০), মিজান (৩৪) ও কামাল হোসেনকে (৩৬) জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, তারা সবাইয় বিজয়ী প্রার্থী আরমান চৌধুরীর সমর্থক। অপর আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জেলা পরিষদ নির্বাচনে সোমবার সকাল ৯টা থেকে সদরের হরিনারায়ণপুর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। দুপুর ২টায় ভোট গ্রহণ শেষে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। সদস্য পদে ঘুড়ি প্রতীক নিয়ে ৮৮ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হন শওকত রেজা চৌধুরী আরমান, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী অটোরিকশা প্রতীকের প্রার্থী কামাল উদ্দিন পেয়েছিলো ৮৪ ভোট। বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে কেন্দ্রের সামনে জয় উল্লাস করার সময় পরাজিত প্রার্থীর লোকজনের সাথে জয়ী প্রার্থীর লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়। আহতদের মধ্যে বেশির ভাগ ব্যক্তি মাথায় আঘাত পেয়েছে।
বিজয়ী প্রার্থী শওকত রেজা চৌধুরী আরমান অভিযোগ করে বলেন, ফলাফল ঘোষণার পর হেরে গিয়ে কামাল উদ্দিনের নেতৃত্বে তার লোকজন অস্ত্র নিয়ে আমার সমর্থকদের ওপর অর্তকিত হামলা চালায়। এসময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আমার অনেক নেতাকর্মী আহত হয়। এছাড়াও সোনাপুর জিরো পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে পুনঃরায় গাড়ি থেকে নামিয়ে কামালা আমার ভোটারদের মারধর করেছে। এ বিষয়ে দলের ঊর্ধ্বতন লোকজনকে অবগত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে পরাজিত প্রার্থী কামাল উদ্দিনের ব্যবহৃত মোবাইলে একাধিকবার চেষ্টা করলেও উনার নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।
সুধারাম মডেল থানার ওসি আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, উভয় পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনায় কেউ এখনও থানায় কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন