অনিবার্য পতন ঠেকাতে এই মাফিয়া সরকার জ্ঞানশূণ্য হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, সরকার কি যে করবে তার দিশা পাচ্ছে না। রক্তচোখের আগুন মাখা গনমানুষের বজ্রনিনাদে ভয়-আতংকে থর থর করে কাঁপছেন অবৈধ সরকারের মন্ত্রী-নেতারা। মনে হয় তারা চোখে সর্ষে ফুল দেখছেন। রোববার (০৪ নভেম্বর) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, সারাদেশে বিএনপির গনসমাবেশগুলোতে ঘর-দুয়ার ছেড়ে আসা ভয়হীন মানুষের অভাবনীয় প্লাবন অবলোকন করে নিপীড়ক শেখ হাসিনা এখন ভয়ংকরভাবে সন্ত্রস্ত। সর্বাধিক জনপ্রিয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বাসার সামনে সেই বালির ট্রাকের কায়দায় চেকপোস্ট-বেরিকেড দিয়ে পুলিশ অবরোধ করে রেখেছে। এটি দেশনেত্রী উপর নির্যাতনের আরেকটি নতুন মাত্রা। এমনিতেই বন্দী করে রাখা হয়েছে তারপর একের পর এক বন্দীত্বের ঘেরাটোপে তাঁকে আরো কঠরভাবে বন্দী করে রাখার পায়তারা চলছে।
তিনি বলেন, রাজশাহীর সমাবেশ থেকে ফেরার পথে আমিনবাজার থেকে যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, নুরুল ইসলাম নয়নসহ যুবদলের নেতাদের তুলে নিয়ে গেছে ডিবি পুলিশ। তুলে নিয়ে যাওয়ার পরেও তাদের কোন খোঁজ দেয়নি। এক মারাত্মক হিংসাশ্রয়ী প্রতিশোধে নেমেছে আওয়ামী সরকার।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনের জনসমাবেশকে বানচাল করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে অন্তর্ঘাতমূলক কাজে নেমেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এক সর্বনাশা খেলা শুরু করেছে শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদেররা। কর্তৃত্ববাদী সরকারের সিংহাসন নড়ে উঠাতে ওরা হিতাহিত জ্ঞানশূণ্য হয়ে পড়েছে। টেন্ডারবাজী, চাঁদাবাজী, টাকা পাচার ও ভূমি দখলের মতো অপরাধগুলোর সাথে জড়িত থাকার কারণে তারা ক্ষমতা ছাড়তে চায়না। কারণ অবৈধভাবে অর্থভিত্তের মালিক হওয়ায় ওরা আগামী দিনের বিচারের হাত থেকে বাঁচতেই ক্ষমতা আকড়ে রেখেছে। তাই ১০ই ডিসেম্বর নয়াপল্টনের সমাবেশকে শেখ হাসিনা নিরাপদ মনে করছে না। র্যাব-পুলিশকে দিয়ে শেখ হাসিনা গণতন্ত্র ধ্বংসের কাজ করেছেন। তাই তারা এখন শেখ হাসিনার হাতের পুতুল হিসেবে বিরোধী দলের কর্মসূচিকে বানচাল করার জন্য বেপরোয়া অভিযানে নেমেছে।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বাড়ির সামনে চেকপোষ্ট ও বেরিকেড বসানোর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং সেগুলো প্রত্যাহারের জোর আহ্বান জানাচ্ছি। আমি কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাহ উদ্দীন টুকু ও সহ-সভাপতি নয়নকে কোথায় রাখা হয়েছে তার খোঁজ দিয়ে তার পরিবারের কাছে হাজির করার আহ্বান জানাচ্ছি। কারণ ডিবি পুলিশই তাদের তুলে নিয়ে গেছে। তাদেরকেই ফিরিয়ে দিতে হবে।
পরবর্তীতে তিনি ১০ ডিসেম্বর ঢাকার গণসমাবেশ সফল করতে লিফলেট বিতরণ ও প্রচার কার্যক্রম উদ্বোধন করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন