বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন পরিবার। তার বিষয়ে কোন তথ্য দিচ্ছে না এমনকি দেখা করতে দিচ্ছে না কারা কর্তৃপক্ষ। রিজভীর স্ত্রী এ অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, আমি তাদের বার বার ফোন দিলেও ফোন ধরছেন না। আজ বুধবার কারাগারে গিয়ে যোগাযোগ করলে জেল সুপার দেখা করেন নি। রিজভীর সঙ্গেও দেখা করতে দেননি। ডেপুটি জেলার আমিনুর রহমান আমাকে দীর্ঘক্ষন বসিয়ে রেখে বলেন রিজভী সাহেব ভালো আছেন। তাকে চিকিৎসকরা দেখাশুনা করছেন। আপনি চলে যান। এর আগে তাকে উন্নত চিকিৎিসার জন্য বিশেষায়িত কোন হাসপাতালে ভর্তির দাবি জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত দফতর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স।
কারাগারে রুহুল কবির রিজভী গুরুতর অসুস্থ হবার সংবাদে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, অবিলম্বে তার উন্নত চিকিৎিসার জন্য কারাগারের বাইরে বিশেষায়িত কোন হাসপাতালে হস্তান্তর করার ও নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি জানান তিনি। অন্যথায় আল্লাহ না করুন, রিজভী আহমেদের কোন অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে এর দায়ভার সরকারকেই নিতে হবে। একই সাথে কারাগারে তার বিষয়ে স্পষ্ট করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি।
এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, আমরা গভীর উদ্বেগ এবং উৎকণ্ঠার সাথে জানাচ্ছি যে, কারান্তরীণ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী গত ২দিন যাবৎ মারাত্মকভাবে অসুস্থ। আমরা জানতে পেরেছি তিনি বর্তমানে কারা হাসপাতালে ২দিন যাবৎ চিকিৎসাধীন আছেন এবং কোন খাবার খেতে পারছেন না। রুহুল কবির রিজভীর স্ত্রী আরজুমান আরা আইভী আমাদেরকে জানিয়েছেন, তিনিও এবিষয়ে বার বার যোগাযোগ করে কোন কিছু জানতে পারছেন না।
রিজভী আহমেদ আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন জানিয়ে প্রিন্স বলেন, স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে তিনি হরতালে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। সেসময় এবং পরবর্তীতে সড়ক দুর্ঘটনায় তার শরীরে অপারেশন হয়। গত ২ বছরে তিনি হৃদরোগে ও করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। এছাড়াও তিনি বেশ কিছু জটিল রোগে আক্রান্ত ছিলেন।
'এরআগেও তিনি যখন কারাগারে বন্দি থাকাবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বিশেষায়িত হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেয়া হয়েছিল। কারা হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা করানো সম্ভব ছিলনা বলেই বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছিল। '
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন