আজ রোববার বাংলাদেশে কার্যক্রমের ছয় বছর উদযাপন করলো উবার। এই সময়ের মধ্যে প্ল্যাটফর্মে ১ বিলিয়ন কিলোমিটার ট্রিপ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে কোম্পানিটি।
উবারের মাধ্যমে বাংলাদেশে অ্যাপভিত্তিক রাইডশেয়ারিংয়ের যাত্রা শুরু হয়। এই যাত্রায় উবার বাংলাদেশের ২০টি শহরে লাখ লাখ যাত্রীকে গন্তব্যে পৌঁছাতে সাহায্য করছে।
কার্যক্রমের শুরু থেকেই বারবার প্রতিটি ট্রিপের নিরাপত্তা নিশ্চিতে তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেছে উবার। একইসাথে সড়ক নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও সহায়তা করছে প্রতিষ্ঠানটি।
এই প্রতিশ্রতিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে আজ বাংলাদেশ পুলিশের সাথে যৌথ উদ্যোগে চালকদের জন্য একটি প্রশিক্ষণের কথা ঘোষণা করেছে উবার। এই প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য হলো চালকদের মধ্যে ট্র্যাফিক আইন বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করা। প্রশিক্ষণের প্রথম ধাপ পরিচালনা করবেন বাংলাদেশ পুলিশের দু’জন এবং উবারের একজন প্রতিনিধি। এখানে সড়ক নিরাপত্তা, ট্র্যাফিক আইনকানুন, অফলাইন ট্রিপ, ট্রিপ ক্যান্সেলেশন ও নগদ টাকা ছাড়া ট্রিপ নিতে রাজি না হওয়া ইত্যাদি বিষয়ে চালকদের সচেতন করে তোলা হবে।
ষষ্ঠ বর্ষপূর্তির এই মাইলফলক অর্জন সম্পর্কে উবারের বাংলাদেশ ও পূর্ব ভারতের প্রধান আলী আরমানুর রহমান বলেন, “বাংলাদেশে আমাদের কার্যক্রমের ছয় বছর পূর্ণ হওয়ায় আমরা অত্যন্ত আনন্দিত ও গর্বিত। উবারের প্রযুক্তির মাধ্যমে দেশের যাতায়াত সমস্যার সমাধান, তরুণদের ক্ষমতায়ন ও উপার্জনের সুযোগ তৈরি করতে পেরে আমরা নিজেদেরকে সৌভাগ্যবান মনে করি। বর্ষপূর্তির এই বিশেষ মুহূর্তে আমরা ধন্যবাদ জানাতে চাই আমাদের সব চালক ও যাত্রীদের, যারা সবসময় আমাদের উপর আন্তরিক বিশ্বাস ও আস্থা রেখেছেন।”
যুক্তরাজ্যভিত্তিক গবেষণা সংস্থা পাবলিক ফার্স্ট-এর সাম্প্রতিক একটি গবেষণা অনুসারে, বাংলাদেশের ৯৫% যাত্রী বলেছেন যাতায়াতকালীন স্বস্তি তাদের উবার ব্যবহার করার পেছনে একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ।
বাংলাদেশি যাত্রীদের মতে, গত এক দশকে পরিবহন খাতে তাদের দেখা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উদ্ভাবনটি হলো রাইডশেয়ারিং। শুধু ২০২১ সালেই বাংলাদেশের অর্থনীতিতে আনুমানিক ৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা অবদান রেখেছে উবার। এর মধ্যে উবারের মাধ্যমে চালকদের উপার্জনের প্রভাব এবং বৃহত্তর পরিসরে কোম্পানির বিস্তৃত সরবরাহ ব্যবস্থায় পরোক্ষ ও বহুমুখী প্রভাব উভয়ই অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
বাংলাদেশে রাইডশেয়ারিং শিল্পের পথিকৃৎ হিসেবে উবারই প্রথম নিজেদের প্ল্যাটফর্মে বেশ কিছু জরুরি সেফটি ফিচার চালু করে। এসব ফিচারের মধ্যে আছে অ্যাপে জরুরি কন্ট্যাক্ট নম্বর ৯৯৯ অন্তর্ভুক্ত করা, পরিবার-পরিজনের সাথে ট্রিপ ও লোকেশন শেয়ার করার ফিচার, একটি সার্বক্ষণিক সেফটি হটলাইন চালু করা, এমনকি মহামারি চলাকালীন চালক ও যাত্রীদের জন্য কোভিড প্রটোকল চালু করা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন