বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া কেন নয়া পল্টন জনসভায় যেতে পারবেন না প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ প্রশ্ন রাখেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনি যদি ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে গিয়ে জনসভা করতে পারেন, তাহলে খালেদা জিয়া কেন পল্টন যেতে পারবেন না? উনাকে জামিন দিয়েছেন, এই শর্ত বাধার জামিন তো অর্থহীন। তিনি কোথায় মিটিং করবেন সেটা তার ব্যাপার।
জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় গতকাল প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক প্রতিষ্ঠিত কৃষক শ্রমিক পার্টির সাবেক সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী এ এস এম সোলায়মান সাহেবের ২৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এই আহ্বান জানান।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আজকে পত্রিকায় দেখলাম, প্রশ্ন উঠেছে বিএনপির টাকার উৎস কী? আমরা সঙ্গে সঙ্গে প্রশ্ন করতে পারি আওয়ামী লীগের টাকার উৎস কী? দুই দলেরই টাকার উৎস প্রকাশ করা হোক। কেবল একজনের না।
ইভিএম দিয়ে নির্বাচনে প্রতারণা চলবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, এবার আর যাই করেন, দিনের ভোট রাতে করা যাবে না। মানুষকে তার ভোট দেওয়ার অধিকার দিতে হবে। আজকে সংঘাত নয়, সংলাপের প্রয়োজন। সুষ্ঠ নির্বাচনের প্রয়োজন।
বিএনপির উদ্দেশে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আপনারা প্রতিহিংসার রাজনীতি করবেন না। নির্বাচনে জিতলেও প্রতিহিংসার রাজনীতি থেকে বিরত থাকবেন। পুলিশের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা এতোটা খাদেম হবেন না। আপনাদের চাকরি যাচ্ছে। যারাই একটু সঠিক পথে থাকার চেষ্টা করছেন তারাই বরখাস্ত হচ্ছেন।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, নভেম্বর মাসে তৈরি পোশাকখাতে রপ্তানি হয়েছে ৫ বিলিয়ন ডলার যাদের শ্রমে, যাদের হাতে এই অর্জন তাদের প্রতিই যত অবহেলা। আজকে স্মরণ রাখা প্রয়োজন শ্রীলঙ্কা আর ভিয়েতনামের সঙ্গে আমাদের পার্থক্য কোথায়। শ্রীলঙ্কার কর্মীদের শিক্ষা বেশি, ভিয়েতনামের কর্মীদের প্রোডাক্টিভিটি বেশি। আমাদের শ্রমিকদের প্রোডাক্টিভিটি বাড়াতে পাঁচ বিলিয়ন ডলারের একটিক্ষুদ্র অংশ তাদের পেছনে ব্যয় করা দরকার। শ্রমিকের শক্তি বাড়াতে প্রতিদিন একটি করে ভিটামিন ট্যাবলেট খাওয়ালে তার প্রোডাক্টিভিটি বেড়ে যাবে।
জাফরুল্লাহ বলেন, আজকে শ্রমিকের আয়ের ৩২ শতাংশ চলে যায় চাল কিনতে। মাছ তো দূরের কথা তারা ডালও কিনতে পারে না। আজকে যদি শ্রমিক-কৃষকরা সামরিক বাহিনীর মতো রেশন পায় তাহলে তাদের পাতে পুষ্টি পড়বে।
তিনি বলেন, আজকে আমাদের যতটুকু উন্নতি হয়েছে, সেটা এ এস এম সোলায়মান সাহেবদের অবদান। আজকে শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হককে আমরা সরকারিভাবে স্মরণ করি না। অথচ শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক না হলে আমার আপনার কারোরই পড়ালেখা হতো না। আমাদের কোনো কৃষক তার খাদ্য জোগার করতে পারতো না।
কৃষক শ্রমিক পার্টির সভাপতি মো. সিরাজুল হকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এস.এম রাজিয়া সুলতানা রত্মা সোলায়মান প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন