রাস্তায় সমাবেশ করার অনুমতি পাবে না বিএনপি। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান নাকি নয়াপল্টন, বিএনপিকে কোথায় সমাবেশ করতে দেয়া হবে-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, মাঠ ছাড়া রাস্তা-ঘাটে সমাবেশ করার অনুমতি দেয়া হবে না। তবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বাদে অন্য কোনো স্থানের নাম এখনো প্রস্তাব করেনি বিএনপি।
আলোচনা শেষে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ বলেছিলেন, আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছি নয়াপল্টনে সমাবেশ করব। এ বিষয়ে আলোচনা করতে এসেছিলাম। বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি ও পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বলা হয়েছে। ভেন্যুর বিষয়ে তারা আলোচনা করবেন।
বিএনপির সমাবেশ: যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত র্যাব: আগামী ১০ ডিসেম্বর রাজধানীতে বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ। সমাবেশকে ঘিরে যেকোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে র্যাব। গতকাল সোমবার কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন একথা বলেন।
তিনি বলেন, মানুষের জান-মাল ও সরকারি-বেসরকারি স্থাপনার নিরাপত্তায় র্যাবের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, স্পেশাল ফোর্স, স্পেশাল ডগ স্কোয়াড, হেলিকপ্টার ইউনিটসহ গোয়েন্দা ইউনিট সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে। কোনো ধরনের নাশকতামূলক পরিস্থিতি যেন না সৃষ্টি হয়, সেজন্য পোশাকে-সাদা পোশাকে মোতায়েন থাকবেন র্যাবের গোয়েন্দা সদস্যরা।
১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশ ঘিরে নিরাপত্তাজনিত উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। সমাবেশ ঘিরে কী কী নিরাপত্তা প্রস্তুতি রয়েছে? জানতে চাইলে কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, দেশে সুষ্ঠু-স্বাভাবিক রাজনৈতিক অবস্থা বিরাজ করছে। সরকারি ও বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো তাদের কর্মসূচি পালন করছে। র্যাব সাধারণত- জঙ্গি, মাদক কারবারি, অস্ত্রধারী ও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামিদের গ্রেফতারে আস্থা অর্জন করেছে।
তিনি বলেন, রাজধানীতে গুরুত্বপূর্ণ বেশকিছু সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা রয়েছে। কেপিআইভুক্ত প্রতিষ্ঠান রয়েছে, বিদেশি স্থাপনা ও অ্যাম্বাসি রয়েছে। শহরের নিরাপত্তার বিষয়ে আমরা সবসময় সচেষ্ট। শুধু এই জনসমাবেশ ঘিরে নয়, আমরা সবসময় জননিরাপত্তা, দেশের ভাবমূর্তি রক্ষার বিষয়ে সচেষ্ট আছি। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় র্যাব প্রস্তুত রয়েছে। আমাদের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, স্পেশাল ফোর্স, স্পেশাল ডগ স্কোয়াড, হেলিকপ্টার ইউনিট প্রস্তুত রয়েছে।
বিএনপির জনসমাবেশ ঘিরে র্যাবের পক্ষ থেকে রুটিন পেট্রোল থাকবে, চেকপোস্ট থাকবে। এছাড়া সাইবার ওয়ার্ল্ডে আমাদের গোয়েন্দা নজরদারি থাকবে, যাতে করে কোনো ধরনের উস্কানিমূলক প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে কেউ নাশকতার চেষ্টা করতে না পারে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন