শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

নয়াপল্টনে সমাবেশ করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা

সাংবাদিকদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৯ ডিসেম্বর, ২০২২, ১২:০৩ এএম

কেন নয়াপল্টনে করতে চায় সেটা আমাদের দেখার বিষয় আছে। তারা যে ঘোষণা দিচ্ছেন সেখানে বসেই তারা ভবিষ্যতে রাষ্ট্র পরিচালনা করবে, সেগুলোই যদি হয়ে থাকে তাহলে সরকার আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। গতকাল বুধবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।

মন্ত্রী বলেন, একটা রাজনৈতিক দল সমাবেশ করবে, তাতে কোনো বাধা নেই। দলের ইশতেহার অনুযায়ী তারা কাজ করবে এখানে সরকারের কোনো কিছু করার নেই। আমরা সব সময় বলে আসছি সেটাও নিয়ম মেনে চলতে হবে, দেশের যে প্রচলিত নিয়ম রয়েছে। তিনি আরও বলেন, তারা নাকি ২০-২৫ লাখ লোকের সমাবেশ ঘটাবে। আপনাদের কাছে আমার প্রশ্ন ২০-২৫ লাখ যদি হয় কোথায় এটা বসাবে। এমন কোনো জায়গা আছে ঢাকায় তাদের স্থান দেয়ার? সেজন্যই আমাদের পুলিশ কমিশনার বলেছেন যেখানে বড় বড় সমাবেশ-মিটিং হয় যেখানে আওয়ামী লীগও সমাবেশ করে, অন্যান্য রাজনৈতিক দলও করে সেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের কথা। সেখানে অনেক সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানও হয়। সেখানে এ ধরনের লোকসংখ্যা হলেও কোনো অসুবিধা হবে না। তারা কেন আসছে না এটা তাদের ব্যাপার, আমাদের কিছু জানা নেই।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারপর তারা বলছে ওই স্থান বাদ দিয়ে অন্য কোনো স্থানে। পুলিশ কমিশনার বলেছেন রাস্তা ছাড়া কোনো বড় জায়গায় যদি হয় তাহলে তারা ব্যবস্থা নেবে।
অনুমতি না নিয়ে পল্টনেই সমাবেশ করতে চাইলে সরকার কী পদক্ষেপ নেবে-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যানচলাচল বন্ধ করলে তারও একটি আইন রয়েছে। সরকার আইন প্রতিষ্ঠিত করতে ও আইনের সমুন্নত রাখার জন্য যা প্রয়োজন তাই করবে। এখানে আমাদের কথা হচ্ছে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে হবে। দেশের জানমাল রক্ষা করতে হবে। দেশে কেউ যদি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি করতে চায় তাহলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর যে অর্পিত দায়িত্ব সেটা তারা করবে।

নয়াপল্টনে সরকার সমাবেশ করতে দেবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেখানে দলের কার্যালয়ের সামনে তারা সবসময়ই তাৎক্ষণিক কিছু করে থাকে। তারা এ সমাবেশে বলছে ২৫ লাখ লোক আনবে। আমি সেই কারণে বলছি এ সমাবেশ করলে সমস্ত ঢাকা শহর কী অবস্থা হবে সেটা আপনারা নিজেরাও জানেন। সেজন্যই তাদের একটা ভালো জায়গা দিয়ে আসছি। সেখানে ছাত্রলীগের সম্মেলন ছিল, ছাত্রলীগের সম্মেলন আমরা অনুরোধ করে এগিয়ে নিয়ে আসছি এবং তাদের জন্য (বিএনপি) উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। আমার মনে হয় এটা কোনো যুক্তি নয় যে সেখানে ছাড়া তারা নয়াপল্টনেই যাবে।

মানবাধিকারের প্রশ্নে ১৫ দেশের রাষ্ট্রদূতের দেয়া বিবৃতির বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে একটি জাতীয় মানবাধিকার কমিশন রয়েছে। মানবাধিকার কমিশন এবং আমাদের মানবাধিকার সমন্বিত রাখার জন্য আমাদের সরকার যতখানি সচেষ্ট আমি মনে করি পৃথিবীর অনেক দেশের চেয়ে আমরা অনেক বেশি সচেষ্ট। মানবাধিকার ক্ষুন্ন্ হোক পৃথিবীর অন্যান্য দেশ যেমন চায় না আমরাও চাই না। এর চেয়ে বেশি আমার মনে হয় বলার সময় আসেনি।

অপর এক অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রিজার্ভ বা দেশের ব্যাংকিং খাতের চলমান অবস্থা নিয়ে যে কোনো ধরনের গুজবে কান দেবেন না। একটি জিনিস সবসময়ই বলি, গুজব কিংবা কে কী বললো এ নিয়ে কান দেবেন না। সত্যিকার তথ্যটা জানতে চেষ্টা করুন। সত্যিকার তথ্যটা জানলেই আপনার কাছে সবকিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে। তখন আপনি সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কী লেখা হলো না হলো তা সত্য কি না যাচাই করবেন। সত্য তথ্য জানার চেষ্টা করবেন। ব্যাংক ব্যবস্থায় অনেক পরিবর্তন হয়েছে। ঘরে বসে মোবাইলেই এখন ব্যাংকিং কার্যক্রম চালানো যায়। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে কোন বিষয়ের প্রাধান্য পাবে তা আমরা জানি না। কিন্তু আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন