বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তির জায়গা খোয়ালেন ইলন মাস্ক। ফোর্বসের তালিকায় দেখা যাচ্ছে, ধনীতম ব্যক্তি হিসাবে তালিকায় উঠে এসেছেন বের্নার্ড আর্নল্ট। মাস্কের গাড়ি প্রস্তুতকারী টেসলার মূল্য এক ধাক্কায় অনেকটা কমে যেতেই ধনীতম ব্যক্তিদের তালিকায় নেমে যান টুইটারের নয়া মালিক। সেই জায়গা দখল করে নেন লুই ভিতোঁর মালিক আর্নল্ট। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তি হিসাবে নিজের জায়গা ধরে রেখেছেন মাস্ক। প্রথমবার নিজের জায়গা হারাতে হল তাকে।
বিপুল ঋণের বোঝা মাথায় নিয়েই টুইটার কিনেছিলেন মাস্ক। তারপর থেকেই মাস্কের নিজের সংস্থা টেসলার লাভের অঙ্ক কমতে থাকে। টুইটার কেনার কিছুদিনের মধ্যেই মাস্কের সম্পত্তির পরিমাণ কমতে থাকে। কারণ টেসলার শেয়ারহোল্ডারদের ধারণা হয়, মাস্কের কাছে টুইটারের গুরুত্ব অনেক বেশি। সেই জন্য টেসলা থেকে নিজেদের শেয়ার বিক্রি করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তার ফলে সামগ্রিকভাবে টেসলার মূল্য এক ধাক্কায় প্রায় অর্ধেকটা কমে যায়।
এক দিনে দু’বার নিজের জায়গা হারিয়ে ফেলেন ইলন মাস্ক। তবে এই পতন সাময়িক। শেয়ার বাজারের ওঠা-পড়ার ফলে কিছুক্ষণ পরেই টেসলার মূল্য বেড়ে যায়। সেই সাফল্যে ভর করেই ফের বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তির তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছেন মাস্ক। বুধবার মোট দু’বার এই ঘটনা ঘটেছে। তবে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, মাস্কের সম্পত্তির পরিমাণ ১৮ হাজার ৫৭০ কোটি ডলার। সামান্য পিছিয়ে থেকে আর্নল্টের দখলে রয়েছে ১৮ হাজার ৫৩০ কোটি ডলারের সম্পত্তি।
টুইটার কেনার কথা ঘোষণা করার পরেই খবরের শিরোনামে থেকেছেন টেসলা-কর্তা। অবশেষে অক্টোবর মাসেই টুইটার কিনে ফেলেন তিনি। তারপর থেকে সংস্থার প্রায় ৬০ শতাংশ কর্মীকে ছাঁটাই করেছেন মাস্ক। কর্মীদের কাজের চাপও অনেক বাড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। মাইক্রোব্লগিং সাইটের জন্য একাধিক নতুন নিয়ম তৈরি করেছেন মাস্ক। তার জেরেই বিজ্ঞাপনদাতাদের অধিকাংশ বেশ চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। সব মিলিয়ে টুইটারের আয়ের পরিমাণ কমতে শুরু করেছে। তাই মাস্কের উপর আগের মতো ভরসা করতে পারছেন না শেয়ার হোল্ডাররা। সূত্র: রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন