'আমার মতামত কার পছন্দ হলো না হলো তা নিয়ে ভাবি না। আমার এই পরিকল্পনা মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষের প্রাণ বাঁচাতে সক্ষম। ডনবাস ও ক্রাইমিয়ার মানুষেরই উচিৎ ঠিক করা তারা কার সঙ্গে থাকবে।'
নিজের টুইটারে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে শান্তি স্থাপন নিয়ে এক অভিনব পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন বিশ্বের সবথেকে ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্ক। আর এ নিয়ে উত্তাল সোশ্যাল মিডিয়া। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি থেকে শুরু করে দেশটির পার্লামেন্টও সেই বিতর্কে অংশ নিয়েছে।
ইলন মাস্ক তার পোস্টে বলেন, ইউক্রেনের যেসব অঞ্চল রাশিয়া দখল করেছে সেসব অঞ্চলে আবারও গণভোট আয়োজন করা হোক। যেহেতু পশ্চিমারা রাশিয়ার অধীনে হওয়া গণভোটের ফলাফল মানছে না, তাই এবার সেটি করা হবে জাতিসংঘের অধীনে। এতে করে ওই এলাকার মানুষেরাই স্বাধীনভাবে বেছে নিতে পারবে যে তারা রাশিয়ার সঙ্গে যাবে না ইউক্রেনের সঙ্গে। ভোটে হারলে রাশিয়া তার সেনা সরিয়ে নেবে।
আর এতেই চটেছে ইউক্রেন। প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি এক পাল্টা টুইটে সবার কাছে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলেন, আপনারা কোন ইলন মাস্ককে পছন্দ করেন? যে ইলন মাস্ক ইউক্রেনকে সমর্থন করে নাকি যে ইলন মাস্ক রাশিয়াকে সমর্থন করে। জেলেনস্কির উপদেষ্টা মিখাইলো পোডোলিয়াক বলেন, শান্তি শুধু তখনই সম্ভব যখন রাশিয়া ক্রাইমিয়াসহ ইউক্রেনের সকল অঞ্চল ফিরিয়ে দেবে, রাশিয়ার সেনাবাহিনী বিলুপ্ত করা হবে, তার সকল পরমাণু বোমা ধ্বংস করা হবে এবং যুদ্ধাপরাধের দায়ে রাশিয়ার বিচার হবে। জার্মানিতে নিযুক্ত ইউক্রেনীয় রাষ্ট্রদূতও ইলন মাস্ককে ‘দূরে থাকো’ বলে প্রতিবাদ জানান।
শুধু ইউক্রেনই নয়, ইউরোপীয় নেতারাও মাস্ককে ভর্তসনা করতে ছাড়েননি। লিথুয়ানিয়ার প্রেসিডেন্ট গিতানাস নাউসেদা টুইটারে বলেন, কেউ যদি ইলন মাস্কের টেসলার চাকা খুলে নিয়ে যায়, তাহলে সে ওই চাকার বৈধ মালিক হয়ে যায় না।
মাস্ক যদিও পাল্টা টুইট করে সকল সমালোচনার জবাব দিয়েছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন