প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক গুগলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা সের্গেই ব্রিনের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ একটি ছবি পোস্ট করেছেন যার ক্যাপশনে তিনি কঠোর ভাষায় ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে দাবি করা তথ্যের বিরোধিতা করেছেন। তিনি ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের সম্পাদক মাইকেল সিকনোলফি এবং প্রতিবেদনের সঙ্গে যুক্ত সংবাদকর্মীদের ‘মিথ্যাবাদী’ বলে ভর্ৎসনা করেন।
টুইটারে ইলন তার বন্ধু ব্রিনের সঙ্গে ছবি পোস্ট করে লিখেন, ‘মিথ্যুক, মিথ্যুক তোমাদের প্যান্টে আগুন।’ ছবির ব্যাপারে তিনি বলেন, হ্যাঁহ, এটা আমার আর সের্গেই এর গতকাল বিকালে তোলা একটি ছবি। নিউ ইয়র্ক পোস্টকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, এটা দুই ঘণ্টা আগে তোলা ছবি। ওই সাক্ষাৎকারে মাস্ক আরও বলেন, আমি নিশ্চিত যে তারা দুজনেই (সের্গেই ও তার সাবেক স্ত্রী) ব্যাপারটি নিশ্চিত করবেন। আমি তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা আমাকে এগুলো তাদের পক্ষ থেকে বলা নয় বলে জানিয়েছে। তাহলে এটা সহজেই বোধগম্য, এসব হয়ত কোনো ভাঙ্গা টেলিফোনের কল্পনাপ্রসূত কাহিনী।
‘ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে সাংবাদিকতার জন্য একটি উচ্চ মান আছে বলে মনে করা হয় এবং, এ মুহূর্তে, তারা ট্যাবলয়েড থেকেও অনেকটা নীচে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এমন গল্প চালানো উচিত যা আসলে তাদের পাঠকদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ এবং দৃঢ় বাস্তব ভিত্তি রয়েছে, তৃতীয় পক্ষের এলোমেলো শুনানি নয়,’ তিনি অন্য একটি টুইটে বলেছিলেন। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত জানুয়ারিতে নিকোল শানাহানের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হয় সের্গেই ব্রিন।
আদালতের তথ্য অনুযায়ী, দুজনের বিচ্ছেদের কারণ হিসেবে ইলন মাস্কের সঙ্গে প্রেম নিয়ে ‘মনোমালিন্য’-কে উল্লেখ করা হয়েছে। আর ব্রিন এ সম্পর্কের কথা জানার কয়েক সপ্তাহ পরই আদালতে বিচ্ছেদপত্র জমা দেন। একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, গত কয়েক মাস আগে মাস্কের সঙ্গে ব্রিনের সম্পর্কে ফাটল ধরেছে। আর্থিক উপদেষ্টারা ব্রিনকে টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার বিভিন্ন ব্যবসায় করা তার বিনিয়োগ বিক্রি করার নির্দেশ দেন।
এর আগে ২০০৮ সালে ব্রিন টেসলায় ৫ লাখ ডলার বিনিয়োগ করেছিলেন। সূত্র আরও জানিয়েছে, ব্রিন এবং শানহানের সম্পর্ক আলাদা হয়েছে ঠিকই, কিন্তু তারা এখনো একসঙ্গে থাকেন। এদিকে ইলন মাস্ক ২০০০ সালে কানাডিয়ান লেখক জাস্টিনকে বিয়ে করেছিলেন। এ সম্পর্ক আট বছর ধরে স্থায়ী হয়েছিল। ইলন ও জাস্টিনের বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছিল ২০০৮ সালে। এরপর ২০১০ সালে তিনি ব্রিটিশ অভিনেত্রী তালুলা রিলিকে বিয়ে করেছিলেন। দুই বছর পর তাদের সম্পর্কের অবসান ঘটে। তবে ২০১৩ সালে তারা আবার বিয়ে করেন। কিন্তু তিন বছর পরে তারা ফের আলাদা হয়ে যান। এরপরে ইলন ও সুপারস্টার অভিনেত্রী আম্বার হার্ডের মধ্যে সম্পর্কের বিষয়টি মিডিয়ায় প্রচুর শিরোনাম হয়েছিল পরে। সূত্র: দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন