ফিলিস্তিনের ইসলামপন্থী সংগঠন হামাস বুধবার অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় সংগঠনটির ৩৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করেছে। এই উপলক্ষে গাজা শহর এবং উপকূলীয় ছিটমহলে হাজার হাজার সমর্থক, জ্যেষ্ঠ নেতা, অন্যান্য ফিলিস্তিনি উপদলের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি গণ উৎসবের আয়োজন করেছে তারা।
১৪ ডিসেম্বর, বুধবার গাজায় হামাসের সিনিয়র নেতা ইয়াহিয়া আল-সিনওয়ার বলেন, ‘আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা ইঙ্গিত দিয়েছে ইসরায়েলে ডানপন্থী ফ্যাসিবাদীদের উত্থানের কারণে ২০২৩ সালে আমরা বড় ধরনের জাতীয় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে যাচ্ছি।'
কাতারে চলমান ফিফা বিশ্বকাপে ফিলিস্তিনিদের প্রতি আরবদের সমর্থনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আরব জনগণ ফিলিস্তিন এবং জেরুজালেমের প্রতি তাদের সমর্থন ব্যক্ত করেছে। তারা ইসরায়েলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ প্রত্যাখান করেছে।'
তিনি ইসরায়েলে কারাগারে বন্দী হামাস সদস্যদের নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি জানিয়েছেন, হামাস বন্দী বিনিময়ের বিষয়ে কয়েক দফা গোপন আলোচনা চালিয়েছে কিন্তু ইসরায়েলি নির্বাচনের কারণে আলোচনা স্থগিত হয়ে গেছে।
এদিকে হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরো প্রধান ইসমাইল হানিয়া একটি রেকর্ড করা বক্তৃতায় বলেছেন, ‘হামাসের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এত বিপুল সংখ্যক গাজাবাসীর অংশগ্রহণে আমি আনন্দিত। আমাদের জনগণ প্রতিরোধ আন্দোলনে তাদের অঙ্গীকার নিশ্চিত করেছে।'
উল্লেখ্য, প্রতি বছরের ১৪ ডিসেম্বর হামাস তার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করে থাকে। ১৯৮৭ সালের ডিসেম্বরে হামাস প্রতিষ্ঠিত হয়। এই সংগঠনটি বর্তমানে গাজা উপত্যকা শাসন করছে। ২০০৬ সালে ফিলিস্তিনের সংসদীয় নির্বাচনে জয়লাভ করেছিল হামাস। ক্ষমতাসীন ফাতাহ ক্ষমতা হস্তান্তরে গড়িমসি করায় তাদের সাথে হামাসের মধ্যে বিভেদ তীব্র হয়ে ওঠে। ক্ষমতার এই লড়াই ২০০৭ সালে সশস্ত্র সংঘাতে রূপ নেয়। পরবর্তীতে হামাস গাজার সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করে, আর ফাতাহ পশ্চিম তীরে তাদের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখে। এরপরই গাজার ওপর কঠোর অবরোধ আরোপ করা হয়। গাজা উপত্যকায় হামাস এখনও আগের মতোই শক্তিশালী, জনপ্রিয় এবং অপ্রতিদ্বন্দ্বী অবস্থায় আছে। সূত্র: দ্য নিউ আরব
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন