নীলফামারীর জলঢাকায় সদ্য ভূমিষ্ঠ এক নবজাতককে ১১ ঘন্টা মাটি চাপা দিয়ে রেখেও জীবিত উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে থানাপুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার গোলমুন্ডা ইউনিয়নের ডাঙ্গা পাড়া আদর্শপাড়া গ্রামে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, ওই এলাকার তিন সন্তানের জননী এক বিধবার সঙ্গে একই গ্রামের চার সন্তানের জনক ফজলে রহমানের (৪৫) দীর্ঘদিন ধরে অনৈতিক সম্পর্ক চলে আসে।
এরই একপর্যায়ে বিধবা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে অনাগত পেটের শিশুটিকে বারবার ঔষধের মাধ্যমে নষ্ট করার চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর নবজাতকটি ভূমিষ্ঠ হলে তাঁকে জীবন্ত মাটি চাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টা করেও তা সফল হতে পারেনি অবৈধ ওই পাষণ্ড পিতা-মাতা। ১১ ঘন্টা জীবন্ত নবজাতককে মাটি চাপা দিয়ে রেখেও তাঁর মৃত্যু ঘটেনি।
বিধবা জানায়, ফজলে প্রায় রাতে আমার ঘরে ঢুকে জোড় করে খারাপ কিছু করে যায়। বুধবার গভীর রাতে বাচ্চা হওয়ার পর, আমাকে মরা বাচ্চার কথা বলে বাড়ির পাশে মাটি দেয় ফজলে।
প্রতিবেশী নুর আমিন জানায়, কানাঘুষা শুনে সকালে আমরা ওই বাড়িতে এলাকার কয়েকজন মহিলাসহ জড়ো হই এবং জানতে পাই গভীর রাতে বিধবার গর্ভে থাকা একটি অবৈধ ছেলে সন্তান জন্ম নিয়েছে। কিন্তু লোক লজ্জার ভয়ে বাড়ির পাশে বাচ্চাটিকে গর্ত করে মাটি চাপা দিয়ে রাখা হয়েছে। পরে তার দেয়া তথ্যানুযায়ী ওই নবজাতককে গর্ত থেকে তুলে দেখি সে বেঁচে আছে। তখন আমরা দ্রুত বাচ্চাটিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করাই।
এ বিষয়ে থানার এসআই স্বজল কুমার সরকার জানান, খবর পেয়ে আমরা ঘটনা স্থলে গিয়ে ফজলে নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছি এবং বৃহস্পতিবার তাঁকে জেল হাজতে পাঠানো হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন